দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৮ বছর ধরে পেটের ভেতর এক জোড়া কাঁচি নিয়ে ঘুরছিলেন ভিয়েতনামের নাগরিক মা ভান নাট! অথচ তিনি টেরই পাননি।
শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচার করার পর বের করা হলো ওই কাঁচি জোড়া! ৫৪ বছর বয়সী নাট সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে ভর্তি হন হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর সময় ধরা পড়ে, তার পেটের মধ্যে ধারালো কিছু বস্তু রয়েছে। পরে ভিয়েতনামের বাক কান প্রদেশে গিয়ে বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় আবার।
সেই পরীক্ষায় দেখা যায়, নাটের পেটের মধ্যে রয়েছে এক জোড়া কাঁচি। কাঁচিগুলোর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ ইঞ্চি।
কাঁচিগুলো পেটের ভেতরে কীভাবে গেলো, তার একটি ধারণাও দেন নাট।
এর পূর্বে একবার সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হন নাট। এর জের ধরেই অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি হন বাক কান হাসপাতালে। ওই অস্ত্রোপচারের সময় তাঁর পেটে হয়তো থেকে গিয়েছিলো ওই কাঁচি দুটি।
নাট বলেছেন, কিছুদিন থেকেই তাঁর পেটের মধ্যে ব্যথা অনুভব করছিলো। ব্যথানাশক ওষুধ নিয়েও তাতে কোনো কাজ হচ্ছিলো না।
ভিয়েতনাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে বেশ কড়া এক আদেশ দেওয়া হয়েছে বাক কান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। নাটের পেটের ভেতরে কাঁচি রাখার জন্য দায়ি কে, তা শনাক্ত করে অতি দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বাক কান হাসপাতালের পরিচালক ত্রিন থি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি ব্যাপারটা খতিয়ে দেখবেন। হাসপাতালের নিয়মানুযায়ী ১৫ বছরের পুরোনো রোগীদের কোনো তথ্য সংরক্ষণ করা হয় না। তাই সে সময় আদৌ নাটের অস্ত্রোপচার করা হয়েছিলো কি না বা চিকিৎসক কে ছিলেন, তা জানা অত্যন্ত কঠিন একটি ব্যাপার।