দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৪৬ বছর বয়সী এমবা গোতো ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে প্রবীনতম নাগরিক। ১০ সন্তানের পিতা তিনি।
এমবা গোতোর ছিলো ৪ বউ, যদিও কেওই এখন আর বেঁচে নেই। এমবা গোতো এখন তার পরিবারের এক ও অন্তিম জীবন, যিনি প্রায় দেড় শতক ধরে পৃথিবীর বুকে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। ১৮৭০ সালে জন্ম হয় এমবা গোতোর। এই প্রদীপ নিভলেই যবনিকা টানা হবে ইতিহাসের জীবন্ত দিনপঞ্জির। তবে এমবা গোতোর মনে নেই, কবে জন্মেছিলেন তিনি!
এমবা গোতো শুধু এই টুকুই মনে করতে পারেন বর্ষবরণের এক সন্ধ্যায় জন্ম হয়েছিলো তার; এমনটাই নাকি তাকে বলেছেন তার মা-বাবা। এই ‘মিথ’কে মাথায় রেখেই প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও সেলিব্রেট হলো এমবা গোতোর জন্মদিন। পরিবারের দাবি তার বয়স এখন ১৪৬ বছর।
জানা যায়, ২০১০ সালে ইন্দোনেশিয়ার জনগণনা অনুযায়ী সরকারিভাবেই এমবা গোতোর বয়স নথিভুক্ত করা হয়েছিলো ১৪২ বছর বয়স হিসেবে। সেই হিসেব করলে তিনি এখন ১৪৮ এ রয়েছেন। তবে পরিবার বলছে তার বয়স ১৪৬। নিজের জন্মদিন মনে করতে না পারলেও এমবা গোতো এখনও স্পষ্ট মনে করতে পারেন সেই দিনের কথা যেদিন তিনি একটি চিনির কারখানা তৈরি করেছিলেন।
তিনি জানিয়েছেন, ১৯৮৮ সালে তার ৪ স্ত্রীর মধ্যে শেষ জন মারা যান। সেই থেকেই নিঃসঙ্গ তার জীবন। তবে জীবনের প্রতি তার প্রেম এখনও অটুট। জীবনকে ছাড়তে চাইলেও জীবন তাকে বেঁধে রেখেছে, যেমন নোঙর বেঁধে রাখে নৌকাকে ঠিক তেমনি। তার বয়স যখন ১২২ বছর, জীবন থেকে সব মোহ উঠে যায়। কিন্তু মৃত্যুকে জড়িয়ে ধরতে এখনও পারেননি এমবা গোতো। দীর্ঘায়ুর রহস্য কী? জানতে চাইলে এমবা গোতো আধো আধো সুরে বলেছেন, “ধৈর্যই তার দীর্ঘায়ুর একমাত্র কৌশল”।