দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার কথা ভোলেনি বিশ্ব। যুদ্ধ পরবর্তী ভয়াবহতার কথা মনে পড়লে এখনও আঁতকে ওঠেন অনেকেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কেটে গেছে ৭২টি বছর। এখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশংকা করছেন অনেকেই।
পশ্চিমা দেশের মানুষগুলো মনে করছেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সন্নিকটে। পশ্চিমা দেশের মানুষ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে কি না এনিয়ে ভোটাভুটিতে অংশ নিয়েছে পশ্চিমারা। সেখানে আবারও বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের আশংকা করা হয়েছে। চলতি বছর ইউরোপজুড়ে আরও হামলার আশংকাও করছেন তারা।
এমন আশংকার পেছনে বেশকিছু কারণও উল্লেখ করা হয়। বিশ্বে ইতিমধ্যে ২ হাজারেরও বেশি পারমানবিক বোমার সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
সিরিয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, মধ্যপ্রাচ্যে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইয়ের অপতৎপরতা ও দুই পরাশক্তি আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গরম বক্তব্য নানা কারণে পশ্চিমাদের এমন আশংকা তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক অনলাইন জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান যুগভ বিশ্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে ৯টি দেশের ৯ হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। অর্থাৎ এই ৯ হাজার মানুষ তাদের নিজস্ব মতামত দিয়েছেন।
এদের অধিকাংশের মধ্যেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে আশংকা রয়েছে। ভবিষ্যতে পৃথিবীর শান্তি বজায় থাকবে না বলে মত দিয়েছেন ওই ৯টি দেশের জনগণ।
এসব মানুষদের মধ্যে আমেরিকার বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন। ফ্রান্স, জার্মানি ও বৃটিশ নাগরিকরাও ভবিষ্যৎ সংঘাতের বিষয়ে আশংকা প্রকাশ করেছেন।
আমেরিকার ৬৪ শতাংশ মানুষ মনে করে বিশ্ব বড় ধরনের সংঘাতের খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু ১৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন বিশ্বে শান্তি বিরাজ করবে।
বৃটিশদের ৬১ শতাংশ মনে করেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক প্রবল। ১৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন ভবিষ্যতে সংঘাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে নরওয়ে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের মানুষ এই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তাদের অধিকাংশর মত হলো, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বা বিশ্বে শান্তি নষ্ট হওয়ার কোনোই আশংকা নেই।
যুগভের পরিচালক অ্যান্থনি ওয়েলসের ধারণা, আমেরিকা ও বৃটিশদের মতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন। কিন্তু ভিন্নমতও রয়েছে। আমেরিকানদের এমন আশংকার পেছনে অবশ্য ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়াকে দায়ী করেছেন তিনি।