দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এতোবছর বয়সে একটি প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদ। শুধু কী তাই? বেতন কতো জানেন? বেতন ২১ কোটি টাকা।
ঘটনাটি ভারতের। ভারতীয় ভোগ্যপণ্যের বাজারে কোনো সিইও হিসেবে এই বৃদ্ধ সবচেয়ে বেশি বেতন পান। এর কারণ জানেন? কোনো ম্যানেজমেন্ট পাশ বা টগবটে তরুণ না হলেও তিনি একজন ৯৪ বছর বয়সী বৃদ্ধ। গত আর্থিক বছরে এই বৃদ্ধের বেতন ছিলো ২১ কোটি টাকা। যা নাকি টেক্কা দিয়ে গেছে গোদরেজ‚ হিন্দুস্তান ইউনিলিভার ও আইটিসি’র মতো সংস্থার সিইও’র বেতনকেও! ভারতে সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া এই বৃদ্ধের নাম হলো ধর্মপাল গুলাটি।
ধর্মপালকে হয়তো অনেকেই দেখেছেন। কীভাবে? টেলিভিশনে MDH মশলার বিজ্ঞাপন যারা দেখেছেন, তারা। এক পাগড়ি পরা বৃদ্ধ বসে খাবারের গুণাগুণ বিচার করছেন? তিনিই হলেন ধর্মপাল। রোজ বাজারে যাওয়া‚ ডিলারদের সঙ্গে কথা বলা‚ কারখানাতে যাওয়া‚ সব নিয়ম করে করে চলেন তিনি। বাড়ি থাকেন না তিনি রবিবারেও। ব্যবসার খুঁটিনাটি হতে বিজ্ঞাপন‚ সব কিছুতেই সক্রিয় ধর্মপাল। দাদাজি কিংবা মশায়জি নামে পরিচিত ধর্মপালের ছবি রয়েছে MDH-এর সব মশলার প্যাকেটেও!
সেই ১৯১৯ সালে শিয়ালকোটের কথা। মশলাপাতির ছোট্ট দোকান শুরু করেছিলেন ধর্মপালের বাবা চুনীলাল। দেশভাগের পর পাততাড়ি গুটিয়ে স্বপরিবারে চলে আসেন ভারতে। দোকান খোলেন দিল্লির করোলবাগে। প্রায় ৬০ বছর পূর্বে পৈতৃক ব্যবসায় আসেন ধর্ম পাল। শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি নয়, ক্লাস ফাইভ ড্রপ আউট। তাঁর হাত ধরেই আজ সারা ভারতে ১৫টি কারখানা মহশিয়ান দি হাট্টি বা MDH-এর মতো প্রতিষ্ঠান। এসব পণ্য রফতানি করা হয় ১০০টি দেশে। সংস্থার অধীনে রয়েছে স্কুল ও হাসপাতালও। এই ব্যবসায় ৮০% শেয়ার ধর্মপালের।
১৫শ’ কোটি টাকার ব্যবসার মূল মন্ত্র হলো গুণমানের সঙ্গে আপস না করা। উৎকৃষ্ট মশলা আনা হয় কর্নাটক রাজস্থান হতে। এমনকী মশলা আসে সুদূর ইরান, আফগানিস্তান হতেও।