দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিমানে মানুষ হয় যাত্রী, সেটিই স্বাভাবিক। তবে এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে! বিমানের যাত্রীদের সিটে দেখা গেছে বাজপাখিদের।
বিমানের যাত্রী আসনে বাজপাখি বাঁধা রয়েছে- এমন একটি ছবি ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। চলছে আলোচনা ও নানা সমালোচনা। শিকার করা ৮০টি বাজপাখির জন্য আস্ত একটি বিমান ভাড়া করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন সৌদি আরবের এক প্রিন্স।
বিমানে যাত্রীদের আসনে শক্ত করে ডানা বাঁধা বাজপাখিগুলোকে বসিয়ে রাখার ছবিটি প্রকাশ হয়েছে সামাজিক মাধ্যম রেডিটে, দল্যান্সোদ নামের একটি অ্যাকাউন্ট হতে। ছবিটি বিমানটির একজন ক্যাপ্টেনের বন্ধুর নিকট হতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন অ্যাকাউন্টধারী ওই ব্যক্তি।
ল্যান্সো বলেছেন, ৮০টি বাজপাখির ডানাকে শক্ত করে বেঁধে বিমানটিতে আনা হয়েছিলো। যে কারণে তারা বিমানের ভেতরে উড়াউড়ি করতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে যে, পাখিগুলোকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে বহন করা হয়। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থাগুলোর ফ্লাইটে বাজপাখি বহন করা বৈধ। কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ইকোনমি ক্লাসের আসনে বৈধভাবে ৬টি পাখি বহন করা যায়। এজন্য গন্তব্যের দূরত্ব অনুযায়ী ১১০ ডলার হতে ৬২০ ডলার ভাড়া গুণতে হয় বহনকারীকে।
অপরদিকে ইত্তিহাদের ফ্লাইটেও পাখি পরিবহন করা হয়ে থাকে। এটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আমরা এয়ারক্রাফটের মূল কেবিনেও বাজপাখি পরিবহন করতে দেই। তবে এজন্য প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্র সরবরাহ করতে হবে। আবার আমরা স্যুটকেসেও বাজপাখি পরিবহনের সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম প্রতীক হলো এই বাজপাখি। সে কারণে চোরাচালান রোধের লক্ষ্যে বিমানে বাজপাখি চড়ানোর ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করে থাকে দেশটি।
বিমানে বাজপাখি বহনের ছবি প্রকাশের পর হতে রেডিট-এ ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। একজন বলেছেন, এমন এক চমকপ্রদ ঘটনার জন্মদাতা সম্ভবত আরব দেশগুলোর কোনো রাজপরিবারের সদস্য। তিনি শিকারের মাধ্যমে ঘটিয়েছেন এমন কাণ্ড। যদি আপনি ইত্তিহাদ, এমিরেটস কিংবা কাতার এয়ারওয়েজের বিমানের যাত্রী হন তাহলে প্রথম শ্রেণিতে কোনো কোনো যাত্রীকে বাজপাখি নিয়ে চড়তে দেখা যাবে, যেটি একেবারেই সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।