দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা গেছেন। এই বর্ষিয়ান নেতার মৃত্যুতে সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়। এরপর রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আজ (রবিবার) ভোর রাত ৪টা ১০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সত্তরোর্ধ্ব সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত রক্তে হিমোগ্লোবিন স্বল্পতাজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে শনিবার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
গত বছর মে মাসে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পরে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালেও চিকিৎসা নেন সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
সত্তরের প্রাদেশিক পরিষদে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন অন্যতম কনিষ্ঠ সদস্য; স্বাধীন দেশের প্রথম সংসদসহ ৪ দশকের প্রায় সব সংসদেই নির্বাচিত হন তিনি।
ষাটের দশকের উত্তাল রাজনীতি হতে উঠে আসা বামপন্থি এই নেতা বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জন্ম সুনামগঞ্জের আনোয়ারাপুরে ১৯৪৬ সালে। প্রথম জীবনেই বামপন্থি আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। সুরঞ্জিত দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম জাতীয় সংসদসহ মোট ৭ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর তিনি রেলমন্ত্রী হন।
তবে সহকারীর অর্থ কেলেঙ্কারির দায় মাথায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করলেও সেটি গ্রহণ না করে সে সময় তাকে মন্ত্রী হিসাবে রাখেন শেখ হাসিনা।
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। সেন্ট্রাল ল’ কলেজ হতে এলএলবি করার পর আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন তিনি।
আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের একজন সদস্য ছিলেন।
এই বর্ষিয়ান নেতার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিএনপিসহ দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক মহল হতে শোক প্রকাশ করে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা হয়েছে।