দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের পোষা পাখির পছন্দের তালিকায় রয়েছে টিয়া। দেখতে সুন্দর এবং নিরীহ এই পাখিটি যে ভয়ংকর হতে পারে তা কী কেও ভাবতে পারেন!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, নিউজিল্যান্ডে এক ধরনের টিয়া পাখি রয়েছে যা ভয়ংকর ও মাংসাশী। যে কেও এই টিয়ার চেহারা দেখলেই বুঝতে পারবেন কথাটি সত্য।
স্যার ডেভিড এটেনবোর ও বিবিসির এক চিত্রগ্রাহক কিয়া নামের মাংসাশী এই টিয়ার খোঁজ পান। তারা এই টিয়ার ভিডিও ধারণ করেন। সচরাচর আমাদের দেখা আর দশটা সাধারণ টিয়া হতে একটু আলাদা এই পাখিগুলোর চেহারা। এদের ঠোঁট এবং খাদ্যাভ্যাস পুরোপুরিভাবে ভিন্ন। সবুজ এবং ধূসর বাদামি বর্ণের এই টিয়াটি একটু বড় আকৃতির, যা প্রায় ৪৮ সেন্টিসিটার লম্বা।
শুধুমাত্র নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণে আল্পাইন অঞ্চলে কিয়া নামের এই বিরল পাহাড়ি টিয়া পাওয়া যায়। বিশ্বের একমাত্র মাংসাশী এই টিয়া, পাখি প্রেমীদের আকর্ষণের বস্তু যাদের দেখতে সমগ্র পৃথিবী হতে পর্যটকরা ছুটে যান নিউজিল্যান্ডে। বিরল এই পাখিগুলো মূলত বুদ্ধিমত্তা এবং কৌতূহলী বৈশিষ্ট্যের কারণে বেশি পরিচিত।
জানা যায়, সমুদ্রতীর কিংবা পাহাড়ি গর্তে এদের কলোনি গড়ে ওঠেছে। মাটির গর্তে বেড়ে উঠতে থাকে তুলতুলে এবং মাংসল ছানারা। বন্য এই টিয়া পাখি মূলত দল বেঁধে নির্দিষ্ট এলাকায় কলোনি আকারে একসঙ্গে বসবাস করে। সাধারণত বন্য ইঁদুর কিংবা পোকামাকড় খাবার হিসেবে প্রথম পছন্দ এদের। তবে মৌসুম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যখন খাদ্যের সংকট শুরু হয় তক্ষুণি এদের হিংস্রতা চরম আকার ধারণ করে থাকে। তখন কলোনির ছানারা হয়ে পড়ে এদের মূল লক্ষ্য। এই প্রজাতির পূর্ণ বয়স্ক টিয়ারা যখন খাবারের খোঁজে সমুদ্রে মাছ শিকারে ব্যস্ত থাকে, ঠিক তখনই খাবারের অন্বেষণে কতিপয় টিয়ার দল অন্য টিয়ার ছানাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে!
এদের ঠোঁট এতোই ধারারো যে নিমিষেই ঠোঁট ছিঁড়ে ফেলতে পারে যেকোনো কিছু। শব্দ অনুসরণ করে খুঁজে নেয় এরা কোন গর্তে ছানারা তাদের মা পাখি বিহীন একা রয়েছে। কখনওবা মাংসের লোভে এদের মাটির গর্ত খুঁড়তে হয় কারণ এদের কলোনির বাসাগুলো মাটির বেশ গভীরে হয়ে থাকে। তারা ব্লেডের ন্যায় ধারালো ঠোঁট দিয়ে টেনে বের করে নিজ প্রজাতির ছানা। তখন দলবেঁধে চলে ভক্ষণ উৎসব!
শুধু তাই নয়, এই টিয়াগুলো এতোটাই হিংস্র যে, মাঝে -মধ্যে জীবন্ত প্রাণীদের দেহেও কামড়ে মাংস ভক্ষণের চেষ্টা করে এরা। আর তাই এদের বলা হয় ভয়ংকর টিয়া।