দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে রোগা হতে চান। রোগা হওয়ার উপায় রয়েছে অনেক। তবে দ্রুত রোগা হতে চাইলে হাঁটবেন জিমে যাবেন নাকি সাইকেল চালাবেন? তাহলে রোগা হতে কোনটি বেশি উপকারী?
শরীরচর্চার উদ্দেশ্যে যে শুধু ওজন কমানোই নয়, চিকিৎসকরা তা বার বার মনেও করিয়ে দেন। ব্যায়াম করলে যে শরীররও ভিতর থেকে ফিট এও চাঙ্গা থাকে, সেটি ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না। শারীরিক কসরতের নানা ধাপও রয়েছে। কেও চাইলেই জিমে যেতে পারেন। কেও আবার ঘরে বসেও ব্যায়াম করতে পারেন। তবে এর কোনওটাতেই তৎক্ষণাৎ সুফল পাওয়া যাবে না। কারও মতে, মেদ ঝরাতে বেশি কার্যকর সাইকেল চালানো, আবার কেও বলেন যে হাঁটলেই রোগা হওয়া সম্ভব।
শরীরচর্চা ধারাবাহিকভাবে করাটা জরুরি। না হলে সুফল পাওয়া সহজ নয়। ওজন কমাতে গেলে সাইক্লিং অনেক বেশিই কার্যকর হতে পারে। জোরে সাইকেল চালালে প্রতি ঘণ্টায় ৪৯৮ হতে ৭৩৮ ক্যালোরি খরচও হয়। অন্য দিকে, তীব্র গতিতে হাঁটলে প্রতি ঘণ্টায় ৪৫০ হতে ৫০০ ক্যালোরি মতো খরচ হয়। এক জন ব্যক্তির দৈনিক কতো ক্যালোরি খরচ করা উচিত, সেটা তার বয়স, ওজন, লিঙ্গ ও তিনি দৈনিক কতোটা শারীরিক পরিশ্রম করছেন, তার উপরেও নির্ভর করবে।
তাহলে রোগা হবেন কোন নিয়মে?
ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’-এর একটি গবেষণা অনুযায়ী জানা যায়, হাঁটার তুলনায় সাইক্লিং করলেই বিপাক হারও বাড়ে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দেখা গিয়েছে হাঁটাহাঁটির তুলনায় যারা নিয়মিত সাইকেল চালিয়েছেন, তাদের মেদ কিন্তু দ্রুত ঝরেছে। সুতরাং এই কথা বলাই যায় যে, ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে সাইক্লিং অনেক বেশি উপকারী হিসেবে বিবেচিত। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org