দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০ সেকেন্ডেই মোবাইল ফোন চার্জার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে ৫০ হাজার ডলারের ‘ইন্টেল ফাউন্ডেশন ইয়াং অ্যাওয়ার্ড’ জিতে নিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার অষ্টাদশী স্কুল ছাত্রী ইশা খারে। আর এই খবরে প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্ব বাজারে আলোড়ন তুলেছে।
মাত্র ২০ সেকেন্ডেই মোবাইল চার্য করা যাবে এমন খবর পেলে সবাই উৎফুল্ল হবেন। বিশেষ করে বাংলাদেশে এ খবর সোনায় সোহাগাও বটে। কারণ বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহার বিশ্বের অন্যান্য দেশের থেকে অনেক বেশি। ব্যাটারির মতো এমনই একটি ছোট ডিভাইস উদ্ভাবন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সারাটোগার অষ্টাদশী স্কুল ছাত্রী ইশা খারে। যা মাত্র ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যায়।
এই ডিভাইসটিকে বলা হচ্ছে, ‘সুপারক্যাপাসিটর, যা বিপুল পরিমাণ শক্তি একটি খুবই ছোট জায়গায় পুঞ্জিভূত করে রাখতে সক্ষম, দ্রুত চার্জ হতে পারে এবং দীর্ঘ সময় সে চার্জ ধরে রাখতে সক্ষম।
প্রচলিত রিচার্জেবল ব্যাটারিগুলো যেখানে গড়ে ১ হাজার বার পর্যন্ত রিচার্জ করা যায়, সেখানে ইশা খারের উদ্ভাবিত ডিভাইসটি ১০ হাজার বার পযর্ন্ত রিচার্জ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
সমপ্রতি অনুষ্ঠিত ইন্টেল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রকৌশল মেলায় নিজের উদ্ভাবিত এ প্রযুক্তি উপস্থাপন করে ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ইশা। অসাধারণ এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে জানতে চাইলে ইশা খারে বলেন, ‘আমার মোবাইল ফোনের চার্জ সবসময়ই শেষ হয়ে যায়। এই বিষয়টিই সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে।’
অন্যদিকে প্রচলিত ব্যাটারির তুলনায় এটি অনেক নমনীয়- উল্লেখ করে ইশা খারে বলেন, নমনীয় বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি ভাজ করে রাখা ডিসপ্লে বা কাপড়ের সঙ্গেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাটারির তুলনায় এই ‘সুপারক্যাপাসিটর’ ব্যবহারের ক্ষেত্র ও সুযোগ অনেক বেশি বলেও দাবি করেন ইশা।
উদ্ভাবিত ডিভাইসটি মোবাইল ফোন বা রিচার্জেবল ব্যাটারিতে চলে এমন যন্ত্রে ব্যবহারের স্বপ্ন দেখছেন ইশা খারে। আর তার এই স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত সত্যি হলে মোবাইল ফোনসহ এ জাতীয় যন্ত্রগুলো যেমন দ্রুততার সঙ্গে চার্জ করা যাবে, তেমনি একবার চার্জ করেই দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তা ব্যবহারও করা যাবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি বেশি ভূমিকা রাখবে। কারণ বাংলাদেশে ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে যে সমস্যায় পড়তে হয়। এই মোবাইল ফোন বা রিচার্জেবল ব্যাটারি আমাদের বহুবিধ উপকারে আসবে। এই প্রযুক্তিটি অদূর ভবিষ্যতে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বাংলাদেশে চলে আসবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ নিউজ২৪ডটকম।