দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হঠাৎ করেই আপনি অনেক কিছুই মনে রাখতে পারছেন না, ভুলে যাচ্ছেন। এমন অবস্থায় স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখতে কয়েকটি টিপস জেনে নিন।
হয়তো পুরোনো কারও সঙ্গে আপনার অনেক দিন পর দেখা হলো। তিনি আপনাকে ফোন নাম্বার দিলেন। কলম না থাকায় মোবাইলে ডায়াল করে রেখেছিলেন। হ্যান্ডসেটে নম্বরটি সেভ নেই বলে মনে করতে পারছিলেন না ঠিক কোন নম্বরটি সেই নম্বর। আপনি অফিসে আছেন। কারও ডেস্কে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করে উঠে দাঁড়িয়েছেন, কিন্তু এ সময় একটা ফোন এলো। অথচ আপনি ভুলে গেলেন আসলে কীজন্য চেয়ার হতে উঠেছিলেন!
অর্থাৎ তাতে প্রতীয়মান যে আপনার স্মৃতিভ্রম হচ্ছে। মস্তিষ্কের কোষে চাপ পড়েছে বলে এমন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে কী করে চাঙ্গা রাখবেন আপনার মস্তিষ্কের কোষকে? জেনে নিন কয়েকটি টিপস। হয়তো আপনার স্মৃতিভ্রমের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করুন
শারীরিক কসরত কিংবা ব্যায়াম অথবা দৌড়াদৌড়ি করুন নিয়মিতভাে। স্বল্প সময়ের জন্য হলেও করুন। ব্যায়াম করলে কেবল শরীর চাঙ্গা থাকে না, মস্তিষ্কও চনমনে হয়ে ওঠে। ব্যায়ামটা সকাল সকাল করা গেলে সবচেয়ে ভালো হয়। তাহলে সারাদিন ফুরফুরে মেজাজে কাজ-কর্ম করতে পারবেন। তাছাড়া, দেওয়ালে বল ছুঁড়ে ক্যাচ ধরার প্র্যাকটিস করুন- এতে আপনার মনোযোগ বাড়াবে।
প্রয়োজনমতো ঘুমান
ঘুমে ব্যাঘাত স্বাস্থ্য ও মন দুয়ের জন্যই ক্ষতিকর। ঘুম কমের ছাপ সারাদিন থাকে। এভাবে নিয়মিত ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলে মস্তিষ্কের ওপর চাপ পড়বে সেটিই স্বাভাবিক। এতে করে আপনাকে ঠেলে দেবে স্মৃতিভ্রমে। তাই প্রতিদিন ভালো ঘুমের ওপর জোর দিতে হবে। একজন সুস্থ মানুষের জন্য দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুম একান্ত প্রয়োজন, কারও কারও ক্ষেত্রে এর বেশিও প্রয়োজন, তবে সেটি ব্যক্তিই অনুভব করবেন। আর ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে টিভি দেখা, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।
নিয়মিত রেস্ট করুন
নানা ব্যস্ততায় সারাদিন কাজে ডুবে থাকেন। দিনশেষে বাসায় ফেরার সময়ও সঙ্গে নিয়ে আসেন নানা রকম কাজ। এই ধকল আপনার মস্তিষ্ক তখন নিতে পারে না। তাই দিনের কাজ দিনেই শেষ করে বাসায় ফিরে পুরোপুরিভাবে রেস্ট করুন। এতে করে কোনোভাবেই মানসিকভাবে হতাশায় তলিয়ে যাবেন না আপনি, লড়াইয়ের মানসিকতায় এগিয়ে যেতে হবে আপনাকে। তাছাড়া আপনাকে নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
খেলুন শব্দছক-সুডোকু
যে কোনো অস্ত্রই ঘষতে ঘষতে ধার হয়। মস্তিষ্ক ধার দিতে কিংবা শাণিত করতেও প্রয়োজন ধার দেওয়া। পত্রিকা কিংবা অনলাইনে নিয়মিত শব্দছক বা সুডোকু খেলে ধার দেওয়া যেতে পারে মগজকে। আপনাকে নিয়মিত সৃজনশীল খেলা খেলতে হবে। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মেলামেশা-আড্ডাবাজি করতে হবে। অর্থাৎ হাসি-খুশি থাকতে হবে। তাহলে মনের মধ্যেকার সকল গ্লানি যেমন দূর হবে তেমনি আপনার মস্তিষ্কও ঊর্ব্বর হবে অর্থাৎ মস্তিষ্ক প্রাণ ফিরে পাবে।