দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে বিমানযাত্রা আধুনিক জীবনের নিয়মিত অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু চলার সময় বিমানের মধ্যে কি কি কাজ করা উচিত বা উচিত নয় সেটি জানা দরকার।
আকাশপথের যাত্রা নির্ঝঞ্ঝাটে সম্পন্ন করতে কিছু বিষয় মেনে চলতেই হয়- এটিই নিয়ম। রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে শীর্ষ ৫টি নির্দেশনা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
বিমানে খালি পায়ে কখনও হাঁটবেন না
বিমানের ফ্লোরে আধ-খাওয়া খাবার, ভাঙ্গা কাঁচের টুকরো হতে শুরু করে বমি এমনকি রক্তও পড়ে থাকতে দেখা যায় অনেক সময়। ২৪ বছর ধরে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের কাজ করা লিন্ডা ফার্গুসন বলেছেন, কখনও খালি পায়ে বাথরুমে বা গ্যালারি এরিয়াতে হাঁটবেন না, কারণ হলো বিমানের মেঝেতে জীবাণুর ছড়াছড়ি থাকে। ভাঙা কাঁচে আপনার পা কেটেও যেতে পারে!
বিমানে কখনও বরফ গ্রহণ করবেন না
এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ৩২৭টি বিমানের মাত্র ১৫ শতাংশের পানি সরবরাহের স্বাস্থ্য মান বজায় রাখা হয়ে থাকে। বিমানে খাবার পানি সাধারণত বোতলে করে সরবরাহ করা হয়। তবে বরফের টুকরোগুলো বিমানের পানি সরবরাহ থেকেই করা হয়ে থাকে। তা এগুলো না খাওয়ায় ভালো।
যাত্রা অবস্থায় কন্টাক্ট লেন্স খুলে ফেলুন
বিমানের কেবিনের আবহাওয়া শুষ্ক, যে কারণে চোখে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। এছাড়া কন্টাক্ট লেন্স পরে ঘুমিয়ে পড়লেও অনেক সময় সমস্যা হতে পারে। তাই কন্টাক্ট লেন্স খুলে ফেলুন।
প্রচুর পানি খান
বিমানের কৃত্রিম আবহাওয়ায় জলীয়বাষ্পের পরিমাণ অনেক কম থাকে। সে কারণে বার বার গলা শুকিয়ে আসে। এই সমস্যা এড়াতে হলে প্রচুর পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পুরো ফ্লাইট সিটে বসে না কাটানো ভালো
বিমান দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে পায়ের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা থাকে। যা ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস নামে পরিচিত। এই জন্য পুরো ফ্লাইটে শুধু সিটে বসে না থেকে হাটাহাটি করুন (অবশ্যই জুতা পায়ে দিয়ে) বা দাঁড়িয়ে আড়মোড়া ভাঙলে এই ঝুঁকি অনেকটা হ্রাস পেতে পারে।