দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৮ তলা বিশিষ্ট বহুতল একটি ভবনটি ছিল জার্মানির বন শহরে। মাত্র ২৫০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক দিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে ভবনটিকে উড়িয়ে দেওয়া হয় গত রবিবার!
জানা যায়, বন শহর যখন জার্মানির রাজধানী ছিলো, তখন জার্মানিকে বলা হতো বনের প্রজাতন্ত্র। ১৯৬৯ সালে নির্মিত বন সেন্টার ছিল সেই বন প্রজাতন্ত্রের এক দৃশ্যমান প্রতীকের মতো। চ্যান্সেলরের দপ্তরের কাছে, রয়টার ব্রিজের কাছে, রেললাইনের ধারে ৬০ মিটার উঁচু একটি ১৮ তলা বাড়ি।
ওই ১৮ তলা বাড়ির মাথার উপরে ছিল মার্সিডিজ বেঞ্জ, কোম্পানির প্রতীক তারকা, যা মিনিটে দু’বার করে পাক দিতো। বাড়ি ভাঙার পূর্বে সবার আগে সরানো হয় সেই তারকাটি।
বন সেন্টারে ছিল বিভিন্ন দূতাবাস ও সংবাদপত্র অফিস। আরও ছিলো একটি হোটেল ও অ্যাম্বাস্যাডার নামের একটি রেস্টুরেন্ট। যে হোটেলে উইলি ব্রান্ড, হেলমুট স্মিট ও হেলমুট কোল, এই তিনজন সাবেক জার্মান চ্যান্সেলরও খাবার খেয়েছেন।
রবিবার সকালে অকুস্থলের ২০০ মিটারের মধ্যে সব যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেলা এগারোটায় একটা চাপা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়; তারপর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়ে বন শহরের ল্যান্ডমার্ক। ধুলোর মেঘে সব কিছু যেনো একেবারে ঢেকে যায়।
এখন সেই স্থানেই তৈরি করা হবে একটি কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, যার কেন্দ্রে থাকবে একটি ১০০ মিটার উঁচু বাড়ি।ইতিহাস গড়তে বহু সময় লাগে, কিন্তু ভাঙতে? ঠিক তার উল্টো। অর্থাৎ মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ধুলিসাৎ হয়ে যায় সেসব ইতিহাস। সত্যিই কতো বাস্তব এই দুনিয়ার কারবার!