দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাম্প্রতিক সময়ে প্লাস্টিকের ডিম নিয়ে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের বাজারে এতোদিন এই ডিমের কথা শোনা গেলেও এবার শোনা যাচ্ছে ভারতেও নাকি প্লাস্টিকের ডিম পাওয়া গেছে! প্লাস্টিকের ডিম চিনবেন কীভাবে? আজে জেনে নিন।
আমরা সবাই জানি অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার হলো ডিম। এতোদিন আমরা জানতাম দুধ, কলা বা অন্য সবকিছুতে ভেজাল মেশানো গেলেও একমাত্র ডিমে কোনো ভেজাল দেওয়া যায় না। কিন্তু আমাদের দীর্ঘদিনের সেই ধারণা এখন পাল্টে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে খবর বেরিয়েছে যে চীনে প্লাস্টিকের ডিম তৈরি করা হচ্ছে। তবে তাও আমরা একটু নিশ্চিত ছিলাম। তবে এবার ভারতে প্লাস্টিকের ডিম পাওয়ার খবরে উদ্বিগ্নতা বেড়েছে।
একটি অনিজিন্যাল ডিমে কি কি উপাদান থাকে তা আমরা অনেকেই জানি। ডিমের সাদা অংশে পানি ৮৮.০%, প্রোটিন বা আমিষ ১১.০%, চর্বি ০.২% এবং খনিজ পদার্থ থাকে ০.৮%। ডিমের হলুদ অংশ অর্থাৎ কুসুমের মধ্যে থাকে ৪৮.০% পানি, ১৭.৫% প্রোটিন বা আমিষ, ৩২.৫% চর্বি ও ২.০% খনিজ পদার্থ রয়েছে। এছাড়া এটি খুব সস্তা ও সহজলভ্যও বলা যায়। তবে বর্তমানে ডিমেও ভেজাল হচ্ছে এই খবরে বিশেষ করে গরীবদের জন্য মাথায় হাত। কারণ সাধারণ মানুষরা যারা দাম দিয়ে মাছ-মাংস কিনতে পারে না তাদের মাত্র কয়েকটি ডিম দিয়েই তরকারি হয়ে যায়। তবে এবার প্লাস্টিকের ডিম তৈরি করে আসল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে। এ ধরনের ডিমে প্রচুর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় বলে এটি স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক।
আবার আসল ডিমের সঙ্গে প্লাস্টিক ডিমের পার্থক্য সহজে বোঝাও বেশ কঠিন। তবে একটু সাবধান হলে সহজে নকল ডিম ধরা সম্ভব। প্লাস্টিক ডিম ফেটিয়ে কড়াইতে দিলে অনেক সময় শক্ত হয়ে যায়। এমনকি পোড়া প্লাস্টিকের গন্ধও বের হতে পারে ওই ডিম থেকে। এছাড়া প্লাস্টিকের ডিম চেনার আরও কিছু পদ্ধতি রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেসব পদ্ধতিগুলো।
# বলা হয়েছে, সাধারণ ডিমের চেয়ে এই প্লাস্টিকের ডিম বেশি ঝকঝকে হয়ে থাকে।
# এই প্লাস্টিকের ডিম ভাঙার পর সাদা অংশ ও কুসুম এক হয়ে যায়।
# এই প্লাস্টিকের ডিমের খোলস বেশি শক্ত। খোলের ভেতর রাবারের মতো লাইন দেওয়া থাকে।
# প্লাস্টিকের ডিম ঝাঁকালে অনেকটা পানি গড়ানোর মতো শব্দ হয়।
# আসল ডিম ভাঙলে মুড়মুড়ে শব্দ শোনা যায়। তবে প্লাস্টিকের ডিমে তেমন কোনো শব্দ হয় না।
# নকল প্লাস্টিকের ডিমের খোসা আসলের মতো মসৃণ নয়, খানিকটা খসখসে ধরনের।
# এই প্লাস্টিকের ডিমে কোনো প্রকার গন্ধ থাকে না।
# আসল ডিম যদি আপনি ভেঙে রেখে দেন তাহলে পিঁপড়া বা পোকামাকড় আসে। তবে নকল অর্থাৎ ওই প্লাস্টিকের ডিমে পোকামাকড় আসে না।
এমটিভাবে আপনি আসল ডিম ও নকল ডিমের পার্থক্য নিরুপণ করতে পারবেন। যেহেতু ভারতের বাজারে চলে এসেছে প্লাস্টিকের ডিম। সেহেতু সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশের বাজারে তা আসবে না সেটি নিশ্চিত করে বলা যায় না। তাই আমাদের সাবধান হতে হবে।