দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে গত কদিন ধরেই নানা আলোচনা শুরু হয়েছে গতকাল শনিবার দিল্লিতে এক মঞ্চে উঠেছিলেন হাসিনা-মোদি ও মমতা।
সফরের আগেই ঘোষণা এসেছিলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। এটি না হওয়ার মূল কারণ হলো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অসম্মতি। তিনি সোজা জানিয়েছিলেন, তিস্তায় তো পানিই নেই। বাংলাদেশকে কী দেবো?
হায়দরাবাদ হাউসের ডেকান স্যুটে গতকাল (শনিবার) দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বল রুমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন করে দুটি রুটে বাস এবং ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সময় মোদি মমতা ব্যানার্জিকে মঞ্চে ডেকে নেন। এই তিন নেতা একসঙ্গে ফটোশ্যুট করেন।
প্রসঙ্গত, দুই নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়ক’ নামে একটি সড়কের নামফলকও উন্মোচন করেন। এছাড়া এই দুই নেতা যশোর ও খুলনা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত বাস সার্ভিস ও খুলনা-কোলকাতা রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করেন। এই সময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে ডেকে নেন মোদি।
শনিবার সকালেই নববধূর সাজে সেজেগুজে কোলকাতার উদ্দেশে খুলনা রেলস্টেশন ছেড়ে যায় মৈত্রী এক্সপ্রেস-২। খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো এই ট্রেন সার্ভিস। গতকাল (শনিবার) সকাল সোয়া ৮টায় খুলনা-কোলকাতা রুটে পরীক্ষামূলকভাবে এই ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ভারতের নেতৃত্বাধীন বর্তমান বিজেপি সরকার ও বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই তিস্তা নিয়ে সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বর্তমানে আরও শক্তিশালী হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ হতে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি রয়েছে। এই নিয়ে আমার আহ্বানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (মমতা ব্যানার্জি) এখানে এসেছেন। সেজন্য আমি খুবই খুশি হয়েছি। আশা করছি, এই সফরে তিস্তা চুক্তি না হলেও খুব শীঘ্রই এই চুক্তি সম্পন্ন হবে।’
এরপর এক লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুই দেশের নদীগুলোর পানিবণ্টন সমস্যা সমাধানে ভারতের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’