দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুপুরের খাবারের পর প্রায় সকলেরই ঘুম ধরে। বিশেষ করে যারা টেবিলে বসে কাজ করেন তাদের এটি বেশি ঘটে। যারা বাইরে ছুটোছুটির মধ্যে থাকেন তাদের অবশ্য এই সমস্যা হয় না। দুপুরে খাবারে পর কেনো এতো ঘুম আসে? আজ জেনে নিন।
দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর ঘুম ঘুম ভাব আসে না, এমন লোকের সংখ্যা বোধহয় খুব কম। এটিকে আমরা ‘ভাতঘুম’ বলে থাকি। দুপুরের খাবারের পর ক্লান্তি এমনভাবে ভর করে, মনে হয় শরীর যেনো আর চলতেই চায় না। তবে কেনো এই ক্লান্তি? এই অবস্থা হতে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় আছে নাকি? সেগুলো আমাদের অজানা।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত নিয়ে এসব নানা প্রশ্নের উত্তর কিছুটা হলেও খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে সেই গবেষণা উঠে এসেছে। যা আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
# আপনি যখন শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় আরও বেশি খাবার গ্রহণ করেন, তখনি আপনার শরীরের ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আপনি যা কিছু খাবেন, তখন তা আপনার রক্তের শর্করার উপর অবশ্যই একটা প্রভাব ফেলবে। খাবার সঙ্গে সঙ্গে ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আপনার ক্লান্তি ভর করে এবং তখন প্রচুর পরিমাণে ঘুম আসে।
# দুপুরে ক্লান্ত হয়ে পড়ার পেছনে আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সেই কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো—রাতে ঘুম ভালো না হওয়া, খেলাধুলা করার সময় না পাওয়া বা অধিকাংশ সময় দুশ্চিন্তায় ডুবে থাকা, তাড়াহুড়ার মধ্যে সকালে নাস্তা না করাও একটি কারণ।
# বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দুপুরে ক্লান্তি এড়িয়ে সজীব থাকার উপায় হলো: সকালে যথা সময়ে ঠিকমতো নাস্তা করতে হবে, দুপুরে আহার পরিমিত করা অর্থাৎ অতিরিক্ত আহার না করা, রাতে পরিমিতভাবে ঘুমানো, নিয়মিত ব্যায়াম করা, দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা এবং টাটকা ফল-ফুলরি খাওয়া।
# যারা অতিমাত্রায় চা-কফি পান করেন তাদের আরও সাবধান হতে হবে। সকালের নাস্তার পর ও দুপুরের খাবারের আগে চা-কফি পান না করাই ভালো। কারণ এটি যেমন ক্ষুধামান্দ্যা সৃষ্টি করতে পারে, তেমনি এর ভেতর থাকা অতিরিক্ত ‘ক্যাফেইন’ আপনাকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তুলতে পারে। তাই এগুলো থেকে সকলকে সাবধান হতে হবে। এবং উপরোক্ত পরামর্শগুলো মেনে চললে হয়তো দুপুরে ভাত ঘুমের এই সমস্যা হতে হয়তো মুক্তি পেতে পারেন।