দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো সুইজারল্যান্ডের পশুবিজ্ঞানীরা গরুদের অজ্ঞান করে তাদের পেটের এক পাশে একটি ৮ ইঞ্চি ব্যাসের ছিদ্র তৈরি করে দিচ্ছেন। কেনো এই ছিদ্র করা হচ্ছে? জানুন ভিডিও দেখে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই ছিদ্রওয়ালা গরুর ছবি এখন ভাইরাল হয়ে গেছে। জানা গেছে, এই ছিদ্রের সাহায্যে গরুর অন্ত্রে পরিপাক ক্রিয়া কেমন চলছে, বিজ্ঞানীরা সে সম্পর্কে ধারণা তৈরির চেষ্টা করছেন।
পরীক্ষামূলকভাবে গরুদের ওট ও ঘাষের মিশ্রণ খাওয়ানো হচ্ছে। তারপর যখন সেই অর্ধ-পাচিত খাবার খাদ্যনালী বেয়ে রুমেন (অন্ত্রের প্রথমাংশ)-এ পৌঁছাচ্ছে, তখনই গরুর পেটের ছিদ্রের ঢাকনা খুলে সেই অর্ধপাচিত খাবারের কিছুটা অংশ বিজ্ঞানীরা তুলে নিচ্ছেন নানা ধরনের পরীক্ষার জন্য। আবার কখনওবা গরুর পেটের ঢাকনা খুলে নিছক তাদের পেটের মধ্যেকার পরিপাক ক্রিয়ার অবস্থাও তারা দেখছেন।
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, এই পরীক্ষার মাধ্যমে গরুদের পক্ষে আরও স্বাস্থ্যকর ডায়েট নির্ধারণ সম্ভব হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁরা গরুদের জন্য যে খাদ্যতালিকা নির্ধারণ করে দিচ্ছেন, সেটি মেনে গরুদের খাবার খাওয়ানো হলে গরুর দেহ থেহতে মিথেন গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ অনেক কমে যায়। যে কারণে বৃদ্ধি পাবে গরুদের কার্যক্ষমতা।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য হলো, এই পদ্ধতি নতুন কিছু নয়। ১৮৩৩ সাল হতেই এই জাতীয় পদ্ধতিতে গরুর অন্ত্রে নজর রাখা হয়ে আসছে। যদিও বিষয়টি গবাদিপশুদের পক্ষে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক বলে মনে করেন বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য হলো, এইভাবে গরুদের স্বাস্থ্যোন্নতির নামে আদপে তাদেরকে কষ্ট দেওয়ার কোনো যুক্তি নাই। এটি পশুদের ওপর নির্যাতনের সামিল বলে মনে করছেন পশুপ্রেমীরা।