দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নারীদের অধিকার নিয়ে নতুন আদেশ জারি করতে চলেছে সৌদি আরব। ইসলামি শরীয়া অনুযায়ী কোনো বাধা না থাকলে (সাবালিকা হওয়ার পর হতে) নারীরা স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবেন।
গত বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে সৌদি বাদশাহ সালমানের রাজকীয় আদেশ জারি করা হয়েছে। আরব নিউজের খবরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
নতুন আদেশ জারির কারণে এখন হতে নারীরা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এতোদিন পর্যন্ত নারীরা বাড়ির বাইরে যেতে হলে তাদের পুরুষ অভিভাবকদের অনুমতি নিতে হতো। আবার দেশের বাইরে যেতে এমনকি চিকিৎসার জন্যও একজন পুরুষ অভিভাবককে সঙ্গে নিতে হতো তাদেরকে। তবে এখন হতে অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন সৌদি আরবের নারীরা।
নারী অধিকার বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদের সাধারণ সচিবালয় কর্তৃক উত্থাপিত ওই প্রস্তাব অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাকে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ওকাজ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হিউম্যান রাইটস কমিশনের সভাপতি বন্দর বিন মোহাম্মদ আল-আইবান এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, সাধারণ নাগরিকদের প্রতি এটি বাদশাহ সালমানের ভালোবাসার নিদর্শন বলা যায়। সৌদি আরবের জনসংখ্যার অর্ধেক নারীরা সমাজ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের অংশীদারিত্বের মূল্যায়ন অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে।
জেদ্দাভিত্তিক অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোপারেশনের (ওআইসি) পাবলিক ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন এর পরিচালক আকিল আরব নিউজকে জানিয়েছেন, অভিভাবকত্ব পেয়ে পুরুষরা সবসময় নারীদের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, কিছু অভিভাবক নারীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে এমনকি ফায়দাও নিচ্ছে তারা।
তিনি জানান, শেষ পর্যন্ত নারীরা নিজেদের অভিভাবকত্ব করতে পারবেন, অফিসের সব কাজ ও নিজেদের ব্যক্তিগত কাজও করতে পারবেন তাদের অভিভাবকের কোনোরকম অনুমতি ছাড়াই, এটি একটি ভালো দিক।
উল্লেখ্য, কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ২২ শতাংশ হতে ৩০ শতাংশে উত্তীর্ণ করা সৌদি আরবের ২০৩০ সালের লক্ষ্যের মধ্যে একটি বড় লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্যেই সোদি আরব কাজ করে যাচ্ছে।