দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিদায় নিতে যাচ্ছে মহিমান্বিত মাস মাহে রমজান। সন্নিকটে শাওয়াল মাস। হাতছানি দিচ্ছে দীর্ঘ এক মাসের রোজার পর চরম আনন্দের মুহূর্ত অর্থাৎ ঈদুল ফিতর। ঈদের দিন নির্ধারণে নাগরিকদের প্রতি নির্দেশনা দিলো সৌদি আরব।
ইনসাইড দ্য হারামাইন জানিয়েছে যে, সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট সকলকে চাঁদ দেখার নির্দেশনা দিয়েছেন। সোমবার নাগরিকদের ঈদ এবং শাওয়াল মাস শুরুর চাঁদ দেখতে বলা হয়েছে। আরব নিউজের এক প্রতিবেদেনেও এই তথ্য জানানো হয়।
সোমবার অর্থাৎ এদিন সৌদি আরবে ২৯ রমজান হবে। যে কারণে ওই দিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর উৎযাপিত হবে। তবে যদি চাঁদ দেখা না যায় সেইক্ষেত্রে রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। তাছাড়া বুধবার ঈদুল ফিতর পালিত হবে।
আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নবম মাস হলো রমজান। আরবি তথা হিজরি ক্যালেন্ডারে মাসগুলো কেবল ২৯ এবং ৩০ দিনে হয়ে থাকে। এই বিষয়টি নির্ধারিত হয় মূলত চাঁদ দেখার ওপর।
সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, গত বছর সৌদি আরবে রমজান মাস হয়েছিল ২৯ দিনে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে সেই বছর রমজান মাস ৩০ দিন হয়েছিল। রাসুল (সা.)-এর হাদিস অনুসারে চাঁদ দেখেই রোজা রাখেন মুসলিমরা। আবার চাঁদ দেখার মাধ্যমেই তারা রোজা শেষও করেন ।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে যে, এই বছর বাংলাদেশে রোজা ৩০টি হতে পারে। অপরদিকে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে যে, এবার তাদের দেশে রোজা ২৯টিও হতে পারে। কারণ ৯ এপ্রিল রাতেই দেশটির আকাশে চাঁদ দেখা যাবে বলে আশা করছেন তারা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org