দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এইচআইভি ভাইরাস ধ্বংস করতে গবেষণায় অনেক দূর এগিয়েছেন। যে কারণে নতুন করে আশার আলো দেখা দিয়েছে এইডসের চিকিৎসায়।
মোলিকুলার থেরাপিতে প্রকাশিত জার্নালে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা ক্রিস্পার প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইঁদুরের দেহ হতে এইচআইভি-১ ভাইরাস ধ্বংস করতে নাকি সক্ষম হয়েছেন। ক্রিস্পার অ্যাসোসিয়েটেড প্রোটিন ৯ প্রযুক্তি দিয়ে এইডসের জন্যে দায়ি ভাইরাসের বংশ বৃদ্ধি ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে।
ক্লাস্টারড রেগুলারলি ইন্টারস্পেসড শর্ট পালিনড্রমিক রিপিটস সংক্ষেপে যাকে বলা হয়, সিআরআইএসপিআর বা ক্রিস্পার নামেই পরিচিত। মূলত এটি একটি ডিএনএ সংশোধন প্রক্রিয়া। ডিএনএ বা জিনের কোডিং করে এইচআইভি ভাইরাসের নতুন করে সৃষ্টি হওয়া ও পুরোনো থেকে যাওয়া ভাইরাসটি ধ্বংস করার প্রক্রিয়া।
এই প্রক্রিয়াটি এতোদিন একটি ধারণাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। বিজ্ঞানীরা সেই ধারণা নিয়ে কাজ করে এবার সাফল্য পেয়েছেন। একে মরণব্যাধি এইডসের চিকিৎসায় বিরাট অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।
একবার যদি এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায় এবং ভাইরাস পুরোপুরি ধ্বংস করা সম্ভব হয়, তবে জীবনঘাতী এই অসুখ হতে মানুষের মুক্তি মিলবে। অনেক মানুষ জন্মগত কারণেই এই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে। কোনো ধরনের অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ছাড়াও এই রোগে যে কাওকে পেয়ে বসতে পারে। একই সূচ বা ইঞ্জেকশন ব্যবহারের দ্বারাও এটি ছড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া বাবা-মা’র এই ব্যাধি থাকলে তা সন্তানেরও হতে পারে।
যদিও বিজ্ঞানীরা ক্রিস্পার প্রযুক্তিতে ইঁদুরের দেহ কোষ হতে এইচআইভি-১ এর ভাইরাসের নতুন কপি হওয়া ঠেকাতে ও তা চিরতরে দূর করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখনই এই প্রযুক্তি মানুষের ওপর প্রয়োগ করার উপযোগী নয়।
তবে বিজ্ঞানীরা আরও কিছু পরীক্ষার পর মানুষের ডিএনএ’র সঙ্গে প্রায় একই কোডিং এমন পশুর ওপর প্রয়োগ করে তারপর মানুষের উপর এর সক্ষমতা যাচাই করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই খবর বিশ্বের ভুক্তভোগী এইডস রোগীদের আশার আলো দেখাচ্ছে।