দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কবুতরকে বলা হয় শান্তির প্রতীক। তবে এই কবুতরের বাচ্চারা কিন্তু চোখে দেখতে পায় না।
বড় কবুতরের ঝাঁক দেখা গেলেও বাচ্চা কবুতর খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না। এর একটি কারণ হলো বাচ্চা কবুতর চোখে দেখতে পায় না। এর বৈজ্ঞানিক কি কারণ সে সম্পর্কে আমরা অবশ্য কিছুই জানি না।
বস্তুত রাস্তায় খাবার খেতে দেখা যায় যেসব কবুতরদের তাদের বেশিরভাগই বন্য পায়রা। কবুতরের বৈজ্ঞানিক নাম Columba livia domestica। পাখির এই উপপ্রজাতিটি বন্য ঘুঘু হতে জন্ম নেওয়া। এরা মূলত পশ্চিম এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং ইউরোপের চারপাশের সাগরের খাড়া বাঁধে ও পাহাড়ে বসবাস করে বংশবৃদ্ধি করে। যদিও পাহাড়ি উপকুল ভূমি ছাড়াও ব্যস্ত মহানগরীই এদের বর্তমান প্রধান আবাসস্থল। তবে তাদের এখনও উঁচু স্থানে ও বিল্ডিং এর ফোকরে বাসা বাঁধার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়।
এনওয়াইসি অদুবন সোসাইটি এর সংরক্ষণ জীববিজ্ঞানী ডেব্রা ক্রাইয়েনস্কি আইএফএল সায়েন্সকে বলেছেন, ‘আপনি শুধু পায়রার বাসাতেই কেবল শিশু পায়রাকে দেখতে পাবেন’। ‘যখন তারা বাসা ত্যাগ করে তখন তাদের দেখতে পূর্ণ বয়স্ক পায়রার মতো লাগে’।
তিনি জানান, মাত্র ২৫-৩২ দিনের মধ্যেই শিশু পায়রা পালক তৈরি হয়। এরপর তারা বাসা ত্যাগ করে। তাই আপনি যদি এই সময়ের মধ্যে বিল্ডিং এর উপর হতে এদের না ধরেন তাহলে আপনার এদের দেখার সৌভাগ্য হবে।
স্কটল্যান্ড এর রয়েল সোসাইটি ফর দ্যা প্রোটেকশন অফ বার্ড (RSPB) এর মারটিন ফউলি বলেছেন, ‘পায়রার বাচ্চা পশম ছাড়াই জন্মগ্রহণ করে। তাদের বাসা ত্যাগ করার পূর্বেই পালক তৈরি হওয়া প্রয়োজন’। বাসা তৈরি করার মতো অন্য প্রজাতিগুলোর মতোই তারাও উড়তে সক্ষম হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বাসাতেই অবস্থান করে।
ক্রায়েনস্কি বলেছেন, ‘জানালা বা বারান্দা দিয়ে আপনি হয়তো শিশু পায়রাকে দেখতে পারেন, সে ক্ষেত্রে পাখির বাচ্চাদের তাদের বাসায় ফিরিয়ে দেওয়া উচিৎ অথবা বাসাটি কাছাকাছি স্থানে পরিবর্তন করে দেওয়া উচিৎ কিংবা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের কাজে নিয়োজিতদের খবর দেওয়া উচিৎ। ছোট বাচ্চাগুলো এভাবে আসার কারণ হলো তারা চোখে দেখতে পায়না।