দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একজন মুসলিম আর অপরজন হিন্দু। সম্পর্কের একাধিক জটিলতা ও প্রতিকূলতা সত্বেও অবশেষে খুশির মুখ দেখেছে তাদের এই প্রেমকাহিনী।
বলা হয়ে থাকে ‘প্রেমেতে মজিল মন, কি বা মুচি কি বা ডোম’। ভালবাসার আসলে কোনও ধর্ম হয় না। তেমনই এক জুটির খোঁজ মিলেছে। তারা হলেন অঙ্কিতা আগরওয়াল ও ফৈজ রহমান। একজন হিন্দু ও এক জন মুসলমান।
জানা গেছে, কলেজে প্রথম দেখাতেই একে অপরের প্রেমে পড়ে যান অঙ্কিতা ও ফৈজ। তারপর এক-দু’বার নয় পাক্কা চারবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ধর্ম ও সমাজের কথা ভেবে প্রথমে পরস্পরের থেকে দূরে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা। তবে বিচ্ছেদের পর বুঝলেন, পরস্পরের থেকে দূরে থাকার চেয়ে ধর্মকে দূরে ঠেলে দেওয়াটায় অনেক বেশি সহজ হবে।
তবে বিয়ে মানে তো শুধু একটি মানুষ অন্যজনের সঙ্গে আবদ্ধ হওয়া নয়। বিয়ে হলো দুটি পরিবারেরও নয়া সম্পর্কে যুক্ত হওয়া। সেই কাজটিই ছিল অঙ্কিতা ও ফৈজের কাছে সবচেয়ে কঠিন এক কাজ। এই বিয়েতে কোনো মত ছিল না অঙ্কিতার পরিবারের।
তাই অঙ্কিতার বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা দূর করতে দারুণ এক কাজ করলেন ফৈজ। তাতেই মুসলিম যুবককে জামাই হিসেবে পছন্দ হয়ে গেলো অঙ্কিতার বাবা-মায়ের। অঙ্কিতাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেলে ফৈজ যে কোনো দিন বিয়ে করবেন না, তা বিশ্বাস করানোর জন্য চারবার চারটি আলাদা অনুষ্ঠান করে অঙ্কিতাকেই বিয়ে করলেন ফৈজ!
প্রথম বিয়েটি হয় ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ মহালক্ষ্মী মন্দিরে। তারপর হয় আদালতে বিশেষ বিবাহ আইন অনুযায়ী। যে আইনটি মুসলিমদের চারবার বিয়ের অনুমতিই দেয় না। শেষমেশ বন্ধু ও আত্মীয় স্বজন ডেকে ধুমধাম করে নিকাহ এবং সাত পাকে বাঁধা পড়েন অঙ্কিতা এবং ফৈজ। তাদের এই প্রেম কাহিনী যে ধর্মের সংকীর্ণতাকেও অনেকটা পিছনে ফেলে দিয়েছে, তা বলাই যায়।