দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০১৮ সালের শেষের দিকে লোকসভা ভেঙে দিয়ে আগাম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিকল্পনা করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ খবর দিয়েছে একাধিক ভারতীয় মিডিয়া।
ইতিমধ্যে দেশের কয়েকজন প্রভাবশালী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আগাম নির্বাচন দেওয়া নিয়ে নরেন্দ্র মোদি এক ঘরোয়া বৈঠকও করেছেন বলে জানা যায়।
আইন করে লোকসভার সঙ্গে সব রাজ্যে বিধানসভা ভোট করার পরিকল্পনাও রয়েছে নরেন্দ্র মোদির- এমনটি জানিয়েছে দেশটির জনপ্রিয় চ্যানেল এনডিটিভি। জানা যায় যে, নরেন্দ্র মোদি তার মুখ্যমন্ত্রীদের ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের মধ্যে বিজেপি রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবেন- এমন নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় আইন পাস করা সম্ভব হলে আগামী বছরের শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীরা মোদির এই পরিকল্পনায় পুরোপুরি মত না দিলেও এখন পর্যন্ত বিরোধীতা করছেন না। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই পরিকল্পনার বেশ সমালোচনা করেছেন। যে সব রাজ্যে কিছুদিন হয় ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রীরা ক্ষমতা এসেছেন সেখানে কেনো এই আগাম ভোট এমন প্রশ্ন রেখেছেন মমতা ব্যানার্জি।
তবে এই প্রস্তাব প্রথম যে মোদিই দিলেন ব্যাপারটি ঠিক তা নয়। এর পূর্বে লালকৃষ্ণ আদভানি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন সময় তিনিই প্রথম এমন একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যদিও তখন সেই প্রস্তাব নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আদভানির সেই প্রস্তাব ও পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে চান নরেন্দ্র মোদি।
নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে আগামী ২০১৯ সালে ভারতের জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি জিতে যাওয়ার পর মোদির জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে যায়। এই বাড়তি জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েই আগাম নির্বাচন চাইছেন নরেন্দ্র মোদি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আগাম নির্বাচনের বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। বিরোধী দলগুলো আগাম নির্বাচন চাইলেও ক্ষমতাসীনরা কখনও তা মানেন না বা সরাসরি নাকচ করে দেন। ক্ষমতাসীনরা চান পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে।