দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অনেক নারীই লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই যে, লিপস্টিক ব্যবহারের কিছু ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে।
লিপস্টিক ব্যবহার করেন না এমন নারীর সংখ্যা নিতান্তই কম। নিঃসন্দেহে এটির ব্যবহার নারীদেরকে অধিক আকর্ষণীয় করে তোলে। কিন্তু এতে বিদ্যমান কিছু রাসায়নিক পদার্থ মুখ থেকে বা অন্য কোনো ভাবে শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তাই লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া একান্ত প্রয়োজন। দিনে এক বারের বেশি লিপস্টিক ব্যবহার করা উচিত নয়। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া এটি ব্যবহার না করাই শ্রেয়। এছাড়া কম দামের নিম্ন মানের লিপস্টিক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এবার জেনে নেওয়া যাক লিপস্টিকে বিদ্যমান কোন কোন উপাদানের কারণে কী কী ক্ষতি হতে পারে:
সীসা
বেশিরভাগ লিপস্টিকেই সীসা বিদ্যমান থাকে। এর প্রভাবে স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া সীসার জন্য হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি শরীরে খুব সামান্য পরিমাণ প্রবেশ করলেও ফল হতে পারে মারাত্মক।
ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম
লিপস্টিকে উচ্চ মাত্রায় ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এই উপাদানগুলি বিভিন্ন মারাত্মক রোগ সৃষ্টির পাশাপাশি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি সাধন করতে পারে। লিপস্টিক বেশি ব্যবহার করা হলে ক্রোমিয়ামধীরে ধীরে কিডনিতে জমা হয়। এই কারণে পরবর্তীতে কিডনি ফেইলিওর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত মাত্রায় লিপস্টিক ব্যবহার করা হলে পাকস্থলীতে টিউমার হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
পেট্রোক্যামিকাল
লিপস্টিক তৈরিতে এই রাসায়নিক উপাদানও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল থেকে সৃষ্টি এই উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। মুখের মধ্য দিয়ে শরীরে প্রবেশ করলে এটি নারীদের শারীরিক বৃদ্ধি, প্রজননতন্ত্র ও বুদ্ধিমত্তার উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
ফলম্যালডিহাইড
লিপস্টিকে ফলম্যালডিহাইড প্রিজারভেটিভ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই উপাদানটির কারণে হাঁচি, কাশি ও চোখ জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
প্যারাবেন ও বিসমাথ অক্সি ক্লোরাইড
লিপস্টিকের এই দুইটি উপাদানও শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। প্যারাবেন ও বিসমাথ অক্সি ক্লোরাইড কারসিনোজেন হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, এগুলি শরীরে জমা হলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।