দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়লেই আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। যেহেতু তারা নিজেরা শারীরিক সমস্যার কথা ঠিক মতো বলতে পারে না সেহেতু আমাদের দুশ্চিতা বাড়তেই থাকে।
কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, শিশুরা কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লেই দুশ্চিন্তা করার বিশেষ কোনো কারণ নেই। বরং এই অসুস্থতার মানে হল শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে।
ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও পরিবেশে থাকা নানা ধরনের জীবাণু শিশুর শরীরে যে কোনো সময় প্রবেশ করতে পারে। এরপর শরীরের কোষের ভিতর অবস্থান করে জীবাণু সংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা করতে থাকে। তবে এ সময় শিশুর শরীর নিস্ক্রিয় থাকে না বরং তখন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান, অ্যান্টিবডি ও রক্ত কণিকার মাধ্যমে জীবাণু প্রতিহত করতে থাকে।
শরীরের ভিতরে এই লড়াই চলার সময় শিশুরা অসুস্থ বোধ করে থাকে। এই সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধী রাসায়নিক উপাদানগুলির কারণে জ্বর হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থারও মেমোরী আছে!
শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থারও নিজস্ব স্মৃতি আছে। কোনো জীবাণু শরীরে প্রবেশ করলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সেটিকে চিহ্নিত করে, এবং পরবর্তীতে ঐ জীবাণু আবার প্রবেশ করলে সেটিকে আরও প্রবলভাবে আক্রমণ করে। মূলত এই বিষয়টির উপর ভিত্তি করেই শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে।
শিশুরা প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়ে কারণ বিভিন্ন ধরনের জীবণু প্রথম বারের মতো তাদের শরীরে প্রবেশ করতে থাকে। একবার একটি জীবাণু শরীরে প্রবেশ করলে পরবর্তীতে সেটির কারণে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
শিশুদের অসুস্থ হওয়ার স্বাভাবিক মাত্রা
প্রথম বছরে শিশুরা ৮-১২ বার স্বাভাবিকভাবে অসুস্থ হতে পারে। পরবর্তী বছরে শিশুরা সাধারণত মোট ৬-৮ বার অসুস্থ হতে পারে। এ সময় তাদের সর্দি-জ্বর, পেটের সমস্যা ও ফ্লুর মতো অসুস্থতা হয়ে থাকে।
তবে কিছু কিছু শিশু অন্যদের তুলনায় বেশি অসুস্থ হতে পারে। কারণ সব শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমান নয়। তবে মনে রাখা প্রয়োজন, শিশুদের অসুন্থতা দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।