দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সাবেক একজন রাষ্ট্রীয় আইনজীবী প্রিট ভারারা বলেছেন তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে অস্বাভাবিক কয়েকটি ফোন কল পেয়ে তা ‘প্রত্যাখ্যান’ করায় বরখাস্ত হয়েছেন।
এবিসি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিট ভারারা বলেন, দেশটিতে নির্বাহী বিভাগ হতে অপরাধ তদন্ত বিভাগের যে স্বাধীনতা রয়েছে তার সীমা লংঘন করছিলো ওই ফোন কলগুলো।
ভারারা আরো বলেছেন যে, তিনি তৃতীয় ‘ফোন কল’টি প্রত্যাখ্যান করার পর তাকে বরখাস্ত করা হয়। তবে তার এই মন্তব্যের পর হোয়াইট হাউজের কোনো প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, বারাক ওবামার নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবী ছিলেন এই প্রিট ভারারা, যিনি ম্যানহাটানের শীর্ষ রাষ্ট্রীয় আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বলছেন, এই কারণেই ট্রাম্প পৃথক ধরনের সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছিলে’ ২০১৬ সালের শেষের দিকে তাদের দুজনের সাক্ষাৎ হওয়ার পর হতে।
তবে ভারারার মনে হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো আইনজীবীর সঙ্গে কোনো ধরনের পৃথক সম্পর্ক গড়ে তোলা ‘অসঙ্গত’ বা ‘অনুচিত’।
আইনজীবী প্রিট ভারারা বলেছেন, ‘গত সাড়ে ৭ বছরে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আমাকে একটা ফোনও করেননি।’
সাবেক এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘কোনো প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে কোনো ফোন কল আশাও করা যাবে না, এর কারণ বিচার ব্যবস্থারকে কোনো ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বা সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে হবে। এমন সীমাই বেঁধে দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, প্রিট ভারারার এই সাক্ষাৎকারের মাত্র কদিন পূর্বেই সাবেক এফবিআই প্রধান জেমস কোমি মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার “আনুগত্য” চেয়েছিলেন। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ও গোপন কথোপথন প্রকাশ করে কোমি ‘কাপুরোষোচিত’ কাজ করেছেন বলে উল্লেখ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।