দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মন্ত্রী হওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন সরকারের সবাই। বিশেষ করে যদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার জন্য বলা হয় তাহলে তো কোনো কথায় নেই। কারণ পুরো পুলিশ ডিপার্টমেন্ট থাকে তার অধিনে। কিন্তু ভারতের কর্নাটক রাজ্যে ঘটেছে তার উল্টো। সেখানে নাকি কেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হতে রাজি নন!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, কর্নাটক রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে যেতে আগ্রহী নন কর্নাটক বিধানসভার কোনো বিধায়ক। তাদের আশঙ্কা হলো, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তাদের ভাবমূর্তি, যা পরোক্ষভাবে ছাপ ফেলবে ভোটে।
ওই রাজ্যে রাজ্যপাল বজু বালা মন্ত্রী জি পরমেশ্বরের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পর কর্নাটক মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। সম্প্রতি মোট ৩টি দফতরসহ মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেন কর্নাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
অন্য দু’টি মন্ত্রণালয় পাওয়ার তদ্বির শুরু হলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন কেও বলে জানিয়েছে ভারতের কোলকাতাভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম।
মনে করা হচ্ছে যে, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিলে চোট পেতে পারে সংশ্লিষ্ট রাজনীতিকের ভবিষ্যত্। সে কারণে ঝুঁকি নিতে রাজি নন কোনো বিধায়কই।
কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব টি বি জয়চন্দ্র, বি রামালিঙ্গা রেড্ডি ও সন্তোষ ল্যাডের যে কোনো একজনের উপর ন্যস্ত করা হতে পারে। ক্ষমতার অলিন্দে জল্পনা চলেছে, রাজ্যে সাংবাদিকদের সম্ভাব্য গ্রেফতারি নিয়ে আলোচনার মাঝে কেওই বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতে ইচ্ছুক নন।
জানা যায়, প্রথমে ডি কে শিবকুমার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে অনাগ্রহী হলেও দুই ঘনিষ্ঠ সহকর্মী বেঙ্গালুরু উন্নয়ন মন্ত্রীকে জে জর্জ ও পূর্তমন্ত্রী এইচ সি মহাবেদাপ্পাকে দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। তবে দু’জনের কেওই নিজ মন্ত্রণালয় ছেড়ে নতুন দায়িত্ব নিতে রাজি হননি।