দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাবা-মায়ের অবদান যে আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কতোখানি তা নতুন করে বলার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে বাবা মায়ের জেদ আমাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
যেহেতু বাবা-মা আমাদের কাছে অত্যন্ত সম্মানীয় তাই সরাসরিভাবে তাদের কথা অস্বীকার করা আমাদের অনেকের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। আবার সব বিষয়ে তাদের মত মতো চলা হলে বাস্তবে আমাদের সমস্যাও হতে পারে। কারণ সব ব্যাপারে বাবা-মায়ের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক হবেই তা জোর দিয়ে বলা যায় না। তাই ঠিক কিভাবে বিষয়টি আপনি সামাল দেবেন তা আপনাকে জানতে হবে।
তাদের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করুন
অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের মনোভাব কিছু কিছু বিষয়ে সঠিক নাও হতে পারে। কিন্তু তারা ঠিক কি ভাবছে এবং কেনো ভাবছে তা আপনার জানা প্রয়োজন। বিষয়টি বুঝতে পারলে আপনি আপনার ও তাদের চিন্তার ভিতরকার পার্থক্য বুঝিয়ে বলতে পারবেন।
শান্ত থাকুন
বাবা-মায়ের সাথে বাদানুবাদের সময় যতোটা সম্ভব শান্ত থাকাই ভালো। তারা যতোই জেদি হোক না কেনো আপনাকে পুরো ব্যাপারটি ঠাণ্ডা মাথায় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। খুব শান্তভাবে আপনার অবস্থানের পক্ষে কিছু যুক্তি তুলে ধরুন, এবং তাদের চিন্তা যে ভুল তা সরাসরিভাবে বলা থেকে বিরত থাকুন।
ক্ষমা চাওয়া
অনেক সময় মত পার্থক্যের জেরে বাবা-মায়ের সাথে আপনার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে পড়লে আপনাকে অবশ্যই তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। তাদের মত ঠিক না হলেও তারা আপনার গুরুজন। তাই তর্ক হলে ক্ষমা চাওয়ার ভিতরে দোষের কিছু নেই।
একা থাকা
কোনোভাবেই যদি বাবা-মা আপনার মত মেনে নিতে রাজি না হয়ে তাদের চিন্তাকেই প্রাধান্য দিতে চায় তাহলে তাদের সাথে সেই বিষয়ে কথা বলা বাদ দিয়ে নিজের মতো থাকতে চেষ্টা করুন। অনেক ক্ষেত্রে আপনার অনুপস্থিতিতে বিষয়টি চিন্তা করলে তারা তাদের ভুল বুঝতে সক্ষম হতে পারে।