দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা বিদ্যা বালান। তিনি মিডিয়াতেও চরম এক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বও বটে। এবার বিদ্যা বালান মুগ্ধ হলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা জয়ার প্রতি! বললেন, ‘জয়ার মতো শক্তিশালী অভিনেত্রী আমি খুব কমই দেখেছি’।
বাংলাদেশের এই গুণী অভিনেত্রী জয়া সাম্প্রতিক সময় বাংলাদেশের পাশাপাশি কোলকাতার বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে ওপারের ইন্ডাস্ট্রিতেও বেশ শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন, যারমধ্যে ছিল ‘রাজকাহিনী’র মতো চলচ্চিত্রও। কিছুদিন পূর্বে মুক্তি পেয়েছে জয়া অভিনীত ‘বিসর্জন’ চলচ্চিত্রটি। এই চলচ্চিত্রটির জন্য ইন্টারন্যাশনাল বাংলা ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড (আইবিএফএ) ২০১৭-এর সমালোচক বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন জয়া।
বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বলিউড আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। তবে কোনো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নয় বরং কিছুদিন পূর্বে মুক্তি পাওয়া জয়া অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসার শহর’ এ জয়ার অভিনয় দেখে নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করেন বিদ্যা বালান।
সেখানকার একটি সংবাদমাধ্যমে বিদ্যা বালান বলেছেন, ‘‘আনন্দের শহর কোলকাতা আমার দ্বিতীয় বাড়ি। ‘ভালবাসার শহর’ সিনেমাটি দেখার ইচ্ছে হয় সেই ভাষার জন্য ভালোবাসা থেকেই। সিনেমাটি দেখার পর কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ হয়ে ছিলাম। চুপ করে বসেছিলাম অনেকক্ষণ। ভেতরে ভেতরে চলছিল একটা তীব্র অস্থিরতা। আমি এ কোন পৃথিবীর দৃশ্য দেখলাম! যুদ্ধবিধ্বস্ত হোমস শহরের ছবি যেনো আমাকে ঝাঁকুনি দিয়ে গেলো। আমরা এখনও কতোখানি অজ্ঞতা, কতো দুর্বল স্মৃতি নিয়ে বসবাস করছি এই পৃথিবীর বুকে। তখন ভাবি, নিজেরা নিরাপদে থাকলেই যথেষ্ট!’’
জয়ার প্রশংসা করতে গিয়ে বিদ্যা বালান বলেন, ‘‘অন্নপূর্ণা দাসের চরিত্রে কী এক অপূর্ব অভিনয় করেছেন জয়া! একটি সাধারণ মেয়ে, যে মুসলিম ছেলের ওপর ভরসা করে একদিন ঘর ছেড়েছিল, শহর ছেড়ে বহুদূর দেশ সিরিয়ার হোমস শহরে চলে গিয়েছিলো। সেই দুঃসাহসী মেয়ের জীবনে নেমে আসে এক অন্ধকার। যুদ্ধের সময় নিরুদ্দেশ স্বামী, কোমায় ছোট্ট মেয়েটি, বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে এক নারীর কী সাহসী লড়াই দেখলাম ‘ভালবাসার শহর’ এ, আসলে বলে বোঝানোর মতো ক্ষমতা আমার নেই। কী অভিনয়ই না দেখালেন জয়া!’’
বিদ্যা বালান বলেন, “জয়ার অভিনয় আমি ‘রাজকাহিনী’ সিনেমাতেও দেখেছি। উনার মতো শক্তিশালী অভিনেত্রী আমি খুব কমই দেখেছি। জয়ার জন্য আমার পক্ষ থেকে অনেক হাততালি পাওনা রইল।”