দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এভারেস্ট জয়ী মোহাম্মদ খালেদ হোসেন কি এখনও বেঁচে আছেন? এমন প্রশ্ন সামনে এনেছেন তাঁর স্ত্রী তাহমিনা শৈলী। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন প্রশ্ন তুলেছেন।
এভারেস্ট জয়ের ৬০তম বার্ষিকী পালিত হয় বিশ্বজুড়ে। বিবিসি জানায়, পেশায় চলচ্চিত্রকার খালিদ হোসেন সজল গত ২০শে মে এভারেস্টের চূড়া থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হন। তার সন্ধানে নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাস ইতিমধ্যেই এক দফা অভিযান পরিচালনা করেছে।
খালেদের স্ত্রী তাহমিনা খান শৈলী বিবিসিকে বলেছেন, “সেই অভিযান আাপাতত স্থগিত রয়েছে। অভিযানটি আসলে শেষ হয়ে গেছে। অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা নেমে এসেছেন। তারা খালেদের বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছেন। তারা বলেছেন, খালেদের মৃতদেহ সেখানে পাওয়া যায়নি।” তল্লাশির ব্যাপারে তিনি বলেন, “তল্লাশির সুযোগ সম্ভবত সেখানে এখন নেই। কারণ পাহাড়ে ওঠার একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট সময় পরে পাহাড়ে ওঠা বন্ধ হয়ে যায়।” তিনি বলেন, “তল্লাশি করে আসা শেরপারা বলেছেন, সেখানে খালেদের কিছু জিনিস তারা পেয়েছেন। তবে খালেদের মৃতদেহ তারা পাননি।” এভারেস্ট বিজয়ের ৬০তম বার্ষিকী পালনের সময় স্বামীর সন্ধান করার ব্যাপারে তিনি বলেন, “আমার মাথায় আসলে এ মুহূর্তে স্বাভাবিক ঘটনাগুলো আসার সুযোগ নেই। আমার স্বামী পাহাড়ে উঠেছেন। তিনি এখনও আমার কাছে ফিরে আসেননি। তার সম্পর্কে আমার কাছে নানা রকমের খবর আসছে। আমাকেও নানা ধরনের খবর নিতে হচ্ছে। এ কাজটি খুব কঠিন। কিন্তু আমাকে খবর নিতেই হবে। আমি জানতে চাই শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল।”
শৈলী আরও বলেন, “একেকজন একেক কথা বলছেন। আজকেও ওর গাইডের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তার কথার সঙ্গে উদ্ধারকারী দলের কথা মিলছে না। যারা খালেদকে দু’দিন পর্যন্ত ওখানে দেখেছেন এমন প্রায় ১৫-২০ জনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের সবার কথা একসঙ্গে এক সূতায় বাঁধা যাচ্ছে না। যতঝড় যত তুফান যত বিপদই আসুক সবার আগে ব্যাগটা চলে যাওয়ার কথা জিনিসপত্র পানির বোতল চলে যাওয়ার কথা। সেগুলো সব আছে খালেদ সেখানে নেই। সারা দিন আমি খুঁজে বেড়াচ্ছি কোথাও যদি কিছু (যদি) পাওয়া যায়।”
এভারেস্ট জয়ী খালেদের স্ত্রী শৈলী বলেন, “আমি বিশ্বাস করি খালেদ এখনও বেঁচে আছে। এই বিশ্বাসটা যদি হারিয়ে ফেলি তাহলে হয়তো ঘটনাটা সত্যি হয়ে যাবে। হয়তো খালেদ আর ফিরে আসবে না। কাজেই আমি এ বিশ্বাস থেকে নড়তে চাই না। ওর সঙ্গে আমার শেষ যে কথা হয়েছে সেটা ছিল আমি সামিট ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তোমাকে সবার আগে ফোন দেবো। আমি তোমার আর সুস্মিতার জন্য যত দ্রুত পারি ফিরে আসবো।”
এমন একটি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পতাকা বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টে প্রদর্শনকারী মোহাম্মদ খালেদ হোসেনকে উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে বেশ ভুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। যা রহস্যবৃতই থেকে যাচ্ছে। এ রহস্যের জট কবে কখন খুলবে নাকি কোন দিন খুলবে না তা কেওই বলতে পারে না।
This post was last modified on মে ৩০, ২০১৩ 3:07 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…