দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের নিয়ে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। এবারও ঠিক এমনই এক ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন মধ্য আফ্রিকার মুসলিমরা- এমনই দাবি করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই দাবি করে বলেছে, জাতিগত নিধন চালিয়ে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র হতে মুসলিমদের মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক শূন্যতার সুযোগ নিয়ে খ্রিস্টান মিলিশিয়ানরা সেখানকার মুসলিমদের উপর জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। এ তথ্য দিয়েছে আলজাজিরা।
এই বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তাদের প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল‘মুছে যাওয়া পরিচয়: মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে জাতিগত নিধনের শিকার মুসলিমরা’। ওই প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই মানবাধিকার সংগঠনটি জানিয়েছে, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের মুসলমানদের উপর শোষন চলছে। তাদেরকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে।
জোয়ান ম্যারিনার নামে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা আলজাজিরাকে বলেেছেন, ৩০ হাজারেরও বেশি মুসলিম জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত ৭টি ছিটমহলে বসবাস করে আসছেন। তবে এর বাইরে যারা বসবাস করে আসছেন তাদের অবস্থা অত্যন্ত নারকীয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এসব এলাকায় ছিটমহলের বাইরে নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করা, নামাজ পড়া, মুসলিম পোশাক পরা অনেকটা অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিলিশিয়াদের নির্যাতন হতে বাঁচার জন্য বাধ্যহয়ে অনেকেই খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করছেন।
জানা যায়, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের এই জাতিগত সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৪৩৬টি মসজিদ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। সেগুলো সংস্কারের সাহস পাচ্ছে না স্থানীয় মুসলিমরা।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৩ সালের মার্চ হতে শুরু হওয়া এই সংঘাতে এ পর্যন্ত অন্তত ৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।