দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাঁচ বছরের শিশুর দেহে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ৭০ বার! এমন কথা আগে কখনও শোনা যায়নি। এতো ছোট একটি শিশুর দেহে এতোবার অস্ত্রোপচার!
এই ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। সেখানকার পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকন্যার নাম শাহাদ। এই মেয়েটির গত তিন বছরের মধ্যে হয়েছে ৭০টি অস্ত্রোপচার। ওর বাবা বলেছেন, এতোগুলো অস্ত্রোপচার হলেও কোনো উন্নতিই হয়নি তাঁর মেয়ের।
শিশু শাহাদের বাবার নাম হুসেইন আল-খিদাইশ। তিনি বর্তমানে চাইছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর মেয়েকে বিদেশে পাঠানো হোক। এর ব্যয়ভার বহন করুক সরকার।
হুসেইন আল-খিদাইশ বলেন, তার মেয়ে ২ বছর বয়সে থাকতে জ্বলন্ত এক বস্তু গিলে ফেলেন। এতে ওর খাদ্যনালী এবং পাকস্থলী মারাত্মকভাবে পুড়ে যায়। তবে কী বস্তু ও গিলে ফেলেছিল তা তিনি বলতে পারেননি। এরপর থেকেই নাকি স্বাভাবিক হয়নি শাহাদ।
হুসেইন আল-খিদাইশ বলেন, প্রথমে শাহাদকে নেওয়া হয় আল-খোবারের সাদ হাসপাতালে। কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিয়ে সেখানে ওকে দুই সপ্তাহ রাখা হয়েছিল। এরপর একই শহরের আরেক হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলা হয় তাকে। তারপর শাহাদের খাদ্যনালী এবং পাকস্থলী প্রসারিত করতে রিয়াদের কিং ফাহাদ মেডিকেল হাসপাতালে প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে এন্ডোসকপিক অস্ত্রোপচার করা হতো শিশুটির।
হুসেইন দুঃখভারাক্রান্ত স্বরে আরও বলেন, শাহাদকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ওর পাকস্থলীতে একটি টিউব বসানো হয়। এটি দিয়েই ওকে খাবার দেওয়া হতো। এভাবে আড়াই বছর পার হয়েছে। তবে শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতিই হয়নি শিশুটির।
শাহাদের বাবার ভাষ্য মতে, কিং ফাহাদ মেডিকেল হাসপাতালে তার মেয়ের প্রায় ৫০টির মতো অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এরপর রিয়াদের কিং খালেদ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে আবারও খাদ্যনালী এবং পাকস্থলী প্রসারণের অস্ত্রোপচার করা হয় শিশু শাহাদের। তারপরও অবস্থার কোনো উন্নতিই হয়নি। মেয়ের শারীরিক অবস্থা দিনকে দিন খারাপ হতে থাকায় হুসেইনের বর্তামনে একটাই চাওয়া, আর তা হলো সরকারি খরচে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার মেয়েকে বিদেশে পাঠানো হোক।