দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের এক বাজারে নাকি দরদাম করে ‘কণে’ বেচাকেনা করা হয়! এই যুগেও কি এমনটি সম্ভব? তবে সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী ঘটনাটি আসলেও সত্যি।
আজকের কথা নয় সেই আশির দশকে বলিউডে একটা সিনেমা নির্মিত হয়েছিল। সিনেমাটির নাম বাজার। ওই সিনেমার কাহিনীতে দেখানো হয় যে, হায়দ্রাবাদে বিয়ের পাত্রী কীভাবে বিকিয়ে যায় পণ্য হিসাবে। গরিব ঘরের অশিক্ষিত মুসলিম মেয়েকে কীভাবে তুলে দেওয়া হয় ধনী বিদেশী শেখদের হাতে, কেবলমাত্র টাকার বিনিময়ে।
তবে বাস্তব ছবিটা একেবারেই বদলায়নি। নিকাহ বা বিয়ের নামে পণ্য হিসেবে পাত্রী বেচা-কেনা চলছে সমান তালে৷ নিকাহর মোড়কে নাবালিকা পাচার হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনের একেবারে নাকের ডগা দিয়ে। কারও কিছু করার নেই। অবস্থাটা এমন যে কারও করার কিছুই নেই। কেও অভিযোগ বা মামলা না করলে কী করার থাকতে পারে?
তবে এবার তা হয়নি। সম্প্রতি নাবালিকা এক পাত্রীর মা সাঈদান্নুসা থানায় এসে অভিযোগ করেন যে, তাকে না জানিয়েই তার ১৫ বছরের মেয়েকে স্বামী সিকান্দার এবং তার ননদ ঘাউসিয়া বেগম গোপনে বিয়ে দিয়েছে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ ওমানি শেখের সঙ্গে। দরদাম করে বিয়ের পণ্য হিসেবে পাত্রীর দাম ওঠে ৫ লাখ রুপি!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ভারতের পুরানো হায়দ্রাবাদ শহরের বারকাস এলাকার স্থানীয় এক হোটেলে একজন কাজীকে ভাড়া করে নিকাহ করে ওই ওমানি শেখ আহমেদ। হোটেলেই দাম চুকিয়ে দেন ওই ওমানি শেখ! বিয়ের পর কাজীর নিকাহনামা দেখিয়ে কাগজপত্র তৈরি করেন। কয়েকদিন পরে শেখ বউকে নিয়ে সোজা চলে যায় মাস্কটে।
ওই বিয়েতে নাবালিকাকে রাজি করাতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি। তাকে দেখানো হয় ওমানি শেখের বিলাসবহুল জীবনের ভিডিও। গরিব ঘরের দুবেলা পেট পুরে খেতে না পাওয়া ওই মেয়েটি রোমাঞ্চিত হয়ে ওঠে। না বলার সাধ্য থাকে না তার। এতো বড় স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। হোক না স্বামী তার দাদুর বয়সি! ভালোমন্দ খেতে-পরতে তো পারবে, আরাম-আয়েসে থাকতে তো পারবে সে। আর কী চাই তার? প্রেম-ভালোবাসা ধুয়ে কি পানি খাবে সে? হৃদয়ের চেয়ে উদরের টান যে বড্ড বেশি তার!
এভাবেই ভারতের অনেক শিশু নাবালিকা বা অসহায় নারী বাজারে বেচা-কেনার পণ্যে পরিণত হয়েছে। বড়ই পরিতাপের বিষয়। আদি আমলের মতো এই আমলেও নারী বেচা-কেনার পণ! তবে আর কতো দিন? সে প্রশ্ন সকলের।