কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ॥ লালন স্মরণোৎসবকে কেন্দ্র করে ছেউড়িয়াতে জমে উঠেছিল তিন দিনব্যাপি এক মিলন মেলা। দোল পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বাউলদের সাধু সংঘকে নিয়ে এই লালন স্মরণোৎসব গতকাল ১১ মার্চ শেষ হয়েছে।
সন্ধ্যায় আলোচনা সভায় জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরুন কুমার দেব, কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রউফ, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক বনমালী ভৌমিকসহ লালন গবেষকরা। ৭ মার্চ রাতে দোল পূর্ণিমায় সাধুদের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তবে লালন একাডেমী আয়োজিত লালন স্মরণোৎসব শুরু হয়েছে ৭ মার্চ সন্ধ্যায়।
স্মরণোৎসবের উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বাউল আবদুল করিম শাহ। শুরুর দিন মেলা খুব একটা না জমলেও দ্বিতীয় দিন থেকে কালিগঙ্গার পাড়ে বসে বাউলদের মিলনমেলা। হাজার হাজার বাউল এবং দর্শক শ্রোতা এসে মিলিত হয় সাইজীর ধামে। দোল পূর্ণিমার তিথিতে বাউলরা আসে সাধু সংঘ করতে। লালন একাডেমী আয়োজিত লালন স্মরণোৎসব ৫ দিনের হলেও ৯ মার্চ শেষ হয় সাধু সংঘ। ভেক খেলাফতধারী বাউলরা ফেরে আপন নিড়ে। এর পরও লালন একাডেমীর স্মরণোৎসবকে কেন্দ্র করে ওই তিন দিন ছিল অসংখ্য সাধকের ভিড়। প্রতিদিন লালন মঞ্চে শিল্পীরা পরিবেশন করেছে লালন গান। লালনের গান শুনে দর্শক শ্রোতারা মেতে উঠেন। উল্লেখ্য, লালন শাহর মাজারে প্রতিদিনই শত শত দর্শনথীদের ভিড় জমে।