দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারে কর্মরত অধিকাংশ পশ্চিমা দেশসহ মোট ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূত এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা গ্রামগুলো পরিদর্শনকালে দেখেছেন যে তাদের বাড়ি-ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামের বসতবাড়ির বাসিন্দারা অন্য কোথাও পালিয়ে গেছে ও তারা সেনাবাহিনীর সহিংসতায় ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্যও দেখতে পেয়েছেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) ওই অঞ্চলে মিয়ানমার সরকারের সহযোগিতায় রাখাইন সফর শেষে কূটনীতিকরা বলেছেন, ‘আমরা দেখেছি গ্রামগুলো পুড়ে গেছে ও সেখানে কোন মানুষজন নেই। সেখানকার সহিংসতা অবশ্যই থামাতে হবে।’
কূটনীতিকরা আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা ওই সফরে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখেছি’ ও ‘আমরা আরেকবার আহ্বান জানাচ্ছি সেখানে যেনো মানুষ নির্বিঘ্নে বসবাস করতে পারে সেই পরিবশে তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি ওই রাজ্যে জীবনরক্ষাকারী সেবা পৌঁছাতে হবে। অন্য রাজ্যের সঙ্গে কোনো বৈষম্য রাখা যাবে না।’
সন্ত্রাসের অভিযোগে রাখাইনের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সেদেশের সেনাবাহিনীর বিশ্বের নৃশংসতম সহিংসতা চালানোর ঘটনার ৫ সপ্তাহ পর সেখানে বিদেশী কূটনীতিকদের এই সফর এবং বিবৃতি প্রকাশিত হলো।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনীর উচিত কোনো প্রকার বৈষম্য না করে রাখাইন রাজ্যের সকল মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষা করা।
কূটনীতিকরা আরও জানান যে, এই সহিংসতার বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তদন্ত হওয়া উচিত। কূটনীতিকরা উল্লেখ করেছেন তাদের এই পরিদর্শন ‘কোনো তদন্ত মিশন ছিল না।’
সেইসঙ্গে কূটনীতিকরা ‘ইউএন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন’কে রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনের অনুমতি প্রদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে কূটনীতিকরা আরও বলেছেন, ‘আরসা ২৫ আগস্ট যে হামলা করেছিল সেজন্য আমরা আবারও নিন্দা জানাই। তবে এজন্যে যে সহিংসতা এবং ব্যাপক সংখ্যক মানুষের দেশত্যাগ ঘটেছে তার জন্য গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
উল্লেখ্য, যেসব দেশের কূটনীতিকরা এই পরিদর্শনে যান সেসব দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড, সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, তুরস্ক, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের কূটনীতিকগণ এই সফরে অংশগ্রহণ করেন।