দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার হিন্দুস্থানেও মুসলিম নারীদের উপর ফতোয়া জারির ঘটনা ঘটেছে। ভারতের উত্তরপ্রদেশের শাহারানপুর জেলার মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় দারুল-উলুম দেওবন্দ-এর পক্ষ হতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, মুসলিম নারীদের রূপচর্চা এবং চুল কাটার মতো কাজ ইসলামের নিয়মবিরুদ্ধ কাজ, সেজন্যই ভারতের উত্তর প্রদেশে মুসলিম নারীদের পার্লারে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গত শনিবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের শাহারানপুর জেলার মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় দারুল-উলুম দেওবন্দ-এর পক্ষ হতে একথা জানানো হয়।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সংগঠন এই ফতোয়া জারি করে। এই ফতোয়ার ঘোষণা করেন সংগঠনটির প্রধান মাওলানা কাজমি। ফতোয়ায় জানানো হয়, মুসলিম নারীদের রূপচর্চা এবং চুল কাটার মতো কাজগুলো ইসলামের নিয়মবিরুদ্ধ। তাই নারীদের পার্লারে যাওয়া উচিত নয়। শুধু তাই নয়, চুল কাটাতেও পারবেন না কোনো মুসলিম নারী। এই ফতোয়া ঘোষণার পর ভারতজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি শাহারানপুরের এক ব্যক্তি দারুল-উলুম দেওবন্দ বিশ্ববিদ্যালয়কে করা একটি প্রশ্ন করেন, ইসলামিক রীতিতে নারীদের ভ্রু প্লাক বা চুল কেটে ফেলা কী বৈধ? ‘ইসলাম কি মহিলাদের রূপচর্চা ও চুল কাটার অনুমতি দেয়?’
এই প্রশ্নের জবাবে দারুল-উলুম দেওবন্দ বিশ্ববিদ্যালয় ফতোয়া জারি করে জানিয়েছে, এই ধরনের সমস্ত কাজ ইসলাম বিরুদ্ধ। এতে আরও বলা হয়, ‘কোনো নারী যদি এই ধরনের কাজে যুক্ত হন, তাহলে স্পষ্টত:ই তিনি ইসলামের নিয়ম ভাঙবেন।’
দারুল ইফতা সংগঠনটির ভাষ্য মতে, ইসলামে মোট ১০টি এমন কাজের উল্লেখ রয়েছে যেটি মুসলিম নারীদের কখনই করা উচিত নয়। এর মধ্যে একটি কাজ হলো ভ্রু প্লাক।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কাজমি বলেছেন, ‘চুল কেটে ফেলা বা রূপচর্চা- মুসলিম নারীদের এগুলো কখনওই করা উচিত নয়। কারণ এর ফলে নারীদের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পায়।’ তার মতে, ‘মুসলিম নারীদের অবশ্যই পার্লার জাতীয় জায়গা হতে দূরে থাকা উচিত। কারণ রূপচর্চার কারণেই অন্যান্য পুরুষরা তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়।’
কাজমি আরও জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে বহু মুসলিম নারীর পার্লারে যাওয়ার ঝোঁক রয়েছে। তাই এই ধরনের ফতোয়া আরও আগেই জারি করা উচিত ছিলো।’