দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউটিউব চেনেন না এমন লোক পাওয়া প্রায় দুষ্কর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের ইন্টারনেট ইউজাররাও ইউটিউবের ভক্ত। কারণ কোন ভিডিও দেখতে চাইলে ইউটিউবের সাহায্য নিতে হবে। এই ইউটিউবের ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। মাসে ১ কোটিরও বেশি গ্রাহক ইউটিউবে প্রবেশ করে।
ইউটিউবের মালিকানা প্রতিষ্ঠান গুগল কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, স্মার্টফোন ব্যবহার উপযোগী ড্রাইভার চালু করায় ইউটিউবের ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে গেছে।
ইউটিউবের কর্তৃপক্ষ একটি ব্লগপোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রতি দুই জনের এক জন ইউটিউবের ওয়েবসাইটে ব্রাইজিং করে থাকে। ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করার পর থেকে সমগ্র বিশ্বজুড়েই এর ব্যবহার দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
ইউটিউব টিমের দাবি, ইউটিউবকে যদি একটি দেশের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে চীন ও ভারতের পর এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে গুগল কর্পোরেশন ১৬৫ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয় ইউটিউবকে। তবে ইউটিউব থেকে কি পরিমাণ মুনাফা করেছে সে তথ্য কখনও প্রকাশ করেনি গুগল। গুগল কিনে নেওয়ার পর থেকে ইউটিউব তাদের ওয়েবসাইটে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন পেশাদারিত্বমূলক কনটেন্ট যোগ করে আসছে বরাবরই। নতুন এসব কনটেন্টের মধ্যে রয়েছে পূর্ণাঙ্গ টিভি অনুষ্ঠান, চলচ্চিত্র। বিজ্ঞাপনদাতাদের আকৃষ্ট করতে মজার মজার ভিডিও এবং এর সঙ্গে নানা পেশাদারিত্ব মূলক ভিডিও প্রকাশ করেছে ইউটিউব।
আর এভাবেই এগিয়ে চলেছে ইউটিউবের কার্যক্রম। এখন ইউটিউব মানেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের একটি স্বস্থির একটি আনন্দের বিষয়। যে কোন ভিডিও পেতে বা এ ধরনের যে কোন কিছু পেতেই ইউটিউবের ওপর ভরসা করে বিশ্বের মানুষ। ইউটিউবের প্রায় ভিডিওই ফ্রি দেখা যায় বা ডাউন লোড করা যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন যেসব প্রতিষ্ঠান টাকা দাবি করবে শুধু তাদের ভিডিও দেখতে টাকা লাগবে। ইউটিউবের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে কর্তৃপক্ষ তৎপর আছেন বলে জানিয়েছেন ইন্টারনেটের ওই সূত্র।
সূত্র: জাপানিজ নিউজ মিডিয়া।