দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের একটি আদালত বাঘকে পূর্বের দেওয়া মৃত্যুপরোয়ানা বহাল রাখলো। দুই বছর বয়সী এক মানুষখেকো বাঘিনীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
ভারতের একটি আদালত দুই বছর বয়সী এক মানুষখেকো বাঘিনীকে হত্যার পরোয়ানা বহাল রাখলো। এই বাঘিনীর হাতে ৪ জন মানুষের জীবন যাওয়ার পর এটিকে হত্যার জন্য নির্দেশ জারি করেছিল মহারাষ্ট্রের বন বিভাগ। তবে মহারাষ্ট্রের আদালতের এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে পশু অধিকার কর্মীরা।
গত জুলাই মাসে মহারাষ্ট্রের ব্রাহ্মপুরিতে বাঘিনী দুজন মানুষকে হত্যা করে। তার আক্রমণে আহত হয় আরও ৪ জন।
তারপর বন বিভাগের হাতে বাঘটি ধরা পড়ে। তবে রেডিও কলার পরিয়ে এটিকে আবার একটি টাইগার রিজার্ভে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছাড়া পাওয়ার পর এই বাঘিনীর হামলায় নিহত হয়েছে আরও দুজন।
এরপরই বন বিভাগ এটিকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলো। তবে আদালতে সেটি চ্যালেঞ্জ করেন পশু অধিকার কর্মী ড. জেরিল বানাইট।
তাদের যুক্তি হলো, এটিকে গুলি করে না মেরে চেতনানাশক বুলেট ছুঁড়ে ধরা হোক। তারপর দূরের কোনো জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হোক। তবে এই মানুষখেকো বাঘিনী নিয়ে ইতিমধ্যে পুরো অঞ্চলে আতংক সৃষ্টি হয়েছে।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, কালা নামের এই বাঘিনী গত ২৯ জুলাই সংরক্ষিত বনে ঢোকার পর এই পর্যন্ত ৫শ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। রেডিও কলারের মাধ্যমে বাঘটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বিশ্বে যতো বাঘ রয়েছে, তার ষাট শতাংশই ভারতে। তবে বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে এবং শিকারিদের উৎপাতে বাঘের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে ভারতে ৮০টি বাঘ মারা গেছে। এর পূর্বের বছর মারা গেছে ৭৮টি বাঘ।