দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাজে-কর্মে বিশেষ করে ঘরের বাইরে যেসব কাজ-কর্ম রয়েছে সেগুলোতে পুরুষরাই বেশি পারদর্শি। তবে এবার এমন এক তথ্য উঠে এসেছে যে তথ্যে বলা হয়েছে চালক হিসেবে পুরুষদের থেকে নারীরাই নাকি বেশি দক্ষ!
চালক হিসেবে নারীদের প্রায়ই গতানুগতিক অদক্ষ হিসেবে ভাবা হয়। কিন্তু নতুন একটি গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে, চাকার পিছনে পুরুষের চেয়ে নারীরাই বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখেন। নরওয়ের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এমন একটি তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল।
গবেষণায় দেখানো হয়, যুবক বয়সী চালক, নিয়মিত চালক, বহির্মুখী বা স্নায়বিক বিকারগ্রস্ত চালকরা গাড়ি চালানোর সময় বেশি বিভ্রান্ত কিংবা ক্ষুব্ধ হন। এই বিভ্রান্তি বা ক্ষুব্ধতাই সব ধরণের গাড়ি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ৮ শতাংশ দায়ী বলে তথ্যে বেরিয়ে এসেছে।
বয়স্ক নারীরা গাড়ি চালানোর সময় বিভ্রান্তি বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। চলতি পথে বেশি মনোযোগী হন বলে এই গবেষণায় উঠে এসেছে।
এই গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা দেখার চেষ্টা করছেন ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য যেমন বয়স, লিঙ্গ, ব্যক্তিত্ব কীভাবে চালকদের বিভ্রান্তিকে প্রভাবিত করে ইত্যাদি।
এই বিষয়ে ইনস্টিটিউট অফ ট্রান্সপোর্ট ইকোনমিক্স’র গবেষক ওলে জোনাসন বলেছেন, ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ও দেশে কার দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি ১২ শতাংশ ভূমিকা রাখে বলে এক তথ্যে দেখা গেছে।
দুটি ধাপে এই গবেষণা চালানো হয়েছে। প্রথম ধাপে ছিল উচ্চ মাধ্যমিকে পড়া নরওয়ের এক হাজার একশজন শিক্ষার্থী, যাদের ২০৮ জন গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে সাধারণ জনগণের মধ্য হতে ৪১৪ জনকে বেছে নেওয়া হয়।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা গাড়ি চালানোর সময় কি মাত্রায় বিভ্রান্ত হয়ে থাকে ও তার ধরণইবা কেমন তা দেখা হয়েছে। সেইসঙ্গে সে সময় তাদের আচরণ কেমন ছিল তাও দেখা হয়েছে ওই গবেষণায়।
সর্বোপরি দেখা যায় যে, তাদের বিভ্রান্তির মাত্রা ছিল খুবই কম। রেডিওসহ তুচ্ছ কাজ তাদের বিভ্রান্তির খুব সাধারণ কারণ। এছাড়া কারও কারও ক্ষেত্রে বিভ্রান্তির কারণ ছিল বয়স ও লিঙ্গ।