দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুনলে আশ্চর্য হতে হয়। কারণ ৪ হাজার বছর পূর্বেও কাবিননামা অর্থাৎ বিয়ের চুক্তিপত্র ছিলো! সম্প্রতি ৪ হাজার বছর পূর্বের একটি কাবিননামা উদ্ধার করা হয়েছে!
আমরা সকলেই জানি বিয়ে হলো পরিবার প্রথার প্রধান এবং প্রথম শর্ত। নারী-পুরুষের মধ্যকার বিয়ে ও তালাক সংক্রান্ত বিষয়াদি শুধু আধুনিক সময়েই নয় বরং প্রাচীন আমলেও ছিল, অন্তত এই উদ্ধারকৃত কাবিননামা দেখে সেটিই প্রমাণিত হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সম্প্রতি তুরস্ক হতে ৪ হাজার বছরের পুরনো একটি কাবিননামা অর্থাৎ বিয়ের চুক্তিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তুরস্কের হারান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিকরা এটি উদ্ধার করে গবেষণা করছেন।
উদ্ধারকৃত ওই কাবিননামায় বিয়ে বিচ্ছেদের বিষয়ে সুস্পষ্ট শর্তের উল্লেখ রয়েছে। পিণ্ডাকৃতির একটি মাটির খণ্ডে শর্তগুলো খোদাই করে লেখা। কাবিননামাটি আসিরীয় যুগের বলে প্রমাণ রয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিকদের নিকট। আসিরীয়রা মাটির পাত্রে খোদাই করে লেখার কৌশল উদ্ভাবন করেছিল এবং সেটিই তাদের বর্ণমালা ছিল।
সংবাদ মাধ্যম আরও জানায়, ওই মাটির পিণ্ডটি পাওয়া যায় বর্তমান তুরস্কের কালতেপে-কানেশ হতে। এই কাবিননামায় লাকিপাম নামে পুরুষ এবং হাতালা নামে একজন নারীর মধ্যে বিয়ের শর্তগুলো লেখা রয়েছে। যেমন একটি শর্ত হলো, হাতালা যদি সন্তান জন্মদানে অক্ষম হন, তবে তার স্বামীর জন্য একজন কৃতদাসী এনে দেবেন।
গবেষকরা দাবি করেছেন যে, এই কাবিননামায় প্রজনন অক্ষমতার সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন উপাওয় রয়েছে। এর একটি হচ্ছে সারোগেসি কিংবা গর্ভ ভাড়া যাকে বলা হয়।
তুরস্কের হারান বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ষিত এই মাটির পিণ্ড এবং সংশ্লিষ্ট আরও কিছু জিনিসপত্র নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ শেষে গবেষকরা জানিয়েছেন, আসিরীয় যুগের এই কাবিননামাই হলো বিশ্বের প্রাচীনতম কাবিননামা। এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও জাতিসংঘের ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য বলা যাবে।