দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আন্তর্জাতিক বাজারে যাচ্ছে বাংলাদেশী যুবকের মশা নিধন যন্ত্র! সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের মশা নিধন যন্ত্র আবিষ্কার করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশী যুবক আব্দুল হামিদ।
এবার আব্দুল হামিদের আবিষ্কৃত সেই মশা নিধন যন্ত্র যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে। জানা গেছে, খুব শীঘ্রেই এই যন্ত্রটি বিদেশের বাজারে পাওয়া যাবে।
সেই লক্ষ্যে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের ভিস্তানা হোটেলের বলরুমে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধি এবং দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বাজারজাতকরণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
‘ইন্টারন্যাশনাল সাইন্টিফিক ডিসকাশান এন্ড লাউন্সিং অব এ নিউ ইনভেনটেড মসকিটো কিলিং ডিভাইস মালয়েশিয়া’ শিরোনামে ওই অনুষ্ঠানে এই যন্ত্রের উপকারিতা তুলে ধরেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেসপিটরি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কবিরুল বাশার।
বাংলাদেশী যুবক আব্দুল হামিদের এই যন্ত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘এইচইসি মসকিটো কিলার’ বা যাকে বাংলায় বলা যায়, হামিদ ইলেকট্রো-কেমিক্যাল মসকিটো কিলার।
৩৪ বছর বয়সী এই তরুণ উদ্ভাবক বলেন, মশা নিধনের এই যন্ত্রে ব্যবহৃত রাসায়নিক হতে কোনো বিষক্রিয়া ছড়াবে না। বরং যন্ত্রটি মশাকে আরও আকৃষ্ট করবে। যন্ত্রটির মধ্যে যে রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়েছে দেখতে তা এক ধরনের খাদ্যের মতোই। মানুষের উপস্থিতি টের পেলে যেভাবে মশা আক্রমণ করে ঠিক সেভাবে মানুষ মনে করে ওই যন্ত্রটির সংস্পর্শে চলে আসবে মশারা।
জানা গেছে, এক ফুট উচ্চতা ও ৬ ইঞ্চি প্রশস্ত এই যন্ত্রটিতে ৫ ওয়াটের একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব থাকবে। বৈদ্যুতিক সুইচে যন্ত্রটি লাগিয়ে দিলে ২০ হতে ৩০ মিনিটের মধ্যে মশা নিধন শুরু হয়ে যাবে। ২ হাজার বর্গফুটের মধ্যে যতো মশা থাকবে সব মশায় যন্ত্রের ভেতর ঢুকে যাবে। এই যন্ত্রটি মানবদেহের মতো মশাকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম।
ঘরে-বাইরে সব জায়গায় এই যন্ত্র অনায়াসে ব্যবহার করা যাবে। বিদ্যুৎ ছাড়াও ব্যাটারি দিয়ে ৪/৫ ঘণ্টা চলবে। যন্ত্রটির ওজন ৫০০ হতে ৬০০ গ্রাম। বিদ্যুৎ খরচ হবে ৭ ওয়াট। একটি রিফিল দিয়ে (রাসায়নিক দ্রব্য) অন্তত ৪ মাস চলবে। প্রতি রিফিলের মূল্য মাত্র ১০০ টাকা। একটি রিফিলসহ যন্ত্রটির এককালীন মূল্য ২ হাজার টাকা। ৪ মাস পরপর রিফিল পরিবর্তন করে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া গ্রামের অধিবাসী আব্দুর হামিদ উদ্ভাবিত মশক নিধন এই যন্ত্রটি ১৮ মাস সরকারের পর্যবেক্ষণের পর গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতি পায়। চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ গেজেটে বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।