দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেফলি নিয়ে মাতামাতির যেনো শেষ নেই। তবে এবার গবেষকরা দাবি করেছেন যে, অতিরিক্ত সেলফি তোলা মানসিক রোগ।
স্মার্টফোন মানেই সেলফি। আর স্মার্টফোন থাকা সত্বেও সেলফি তোলেননি- এমন লোক খুঁজে পাওয়া প্রায় দুস্কর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুললেই দেখা যায় যে, কেও না কেও সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন। আবার পথে ঘাটে, মাঠে, শপিংমলে, ড্রয়িংরুমে, বিয়েবাড়ি, পিকনিকস্পটসহ প্রায় সব অনুষ্ঠানে সেলফি তোলা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।
দেখা যায় কয়েক বন্ধু একসঙ্গে হলেই পকেট থেকে স্মার্টফোন বের করে বলে ‘হয়ে যাক সেলফি’। সঙ্গে সঙ্গে সেটি আবার আপলোড হয়ে যায় ফেসবুকে। তারপর শুরু হয়ে যায় লাইক, কমেন্ট, কমেন্ট বিনিময় ইত্যাদি। আর এভাবেই সেলফির জনপ্রিয়তা দিনদিন যেনো বেড়েই চলেছে। তবে এবার গবেষকরা দিয়েছেন চমকপ্রদ তথ্য। একদল গবেষক জানিয়েছেন যে, অতিরিক্ত সেলফি তোলার প্রবণতা মানুষের এক ধরনের মানসিক রোগ। যারা অতিরিক্ত সেলফি তোলায় মজে থাকেন, তাদের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত- এমন পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা!
ব্রিটেনের নটিংহ্যাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতের তামিলনাড়ুর থিয়াগারাজার ম্যানেজমেন্ট স্কুলের একদল গবেষক যৌথভাবে এই গবেষণাটি চালান। তারা জানান যে, সারাক্ষণ সেলফিতে মজে থাকা পাগলামির লক্ষ্মণ ছাড়া অন্য কিছুই নয়। এই গবেষণার জন্য ভারতীয় নাগরিকদের বেছে নেওয়া হয়েছিল। এর কারণ হলো ভারতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা সর্বাধিক। দেশটিতে বিপজ্জনক স্থানে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে বহু মানুষ মারা গেছেন এ পর্যন্ত।
গবেষকরা দাবি করেছেন, সেলফি তুলতে গিয়ে এভাবে যারা জীবনের ঝুঁকি নেওয়া এক ধরনের মানসিক রোগ ছাড়া আর কিছু নয়।