দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান প্রজন্ম এমন একটি খবর শুনে বোগল বাজাবেন সেটিই বোধহয় স্বাভাবিক। কিন্তু গবেষকদের ওই দাবি ‘নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করলে বাড়বে আয়ু’! সেটি কী আদোতেও ঠিক?
গবেষকরা বলেছেন, ফেসবুকেই নাকি লুকিয়ে রয়েছে জীবনের নির্যাস! বেশি মাত্রায় ফেসবুক করলে নাকি বাড়বে আয়ু। গবেষকরা মনে করেন, এই ভার্চুয়াল দুনিয়াতেই লুকিয়ে রয়েছে বেশিদিন বাঁচার চাবিকাঠি। তবে এতে একটা শর্ত রয়েছে। শর্তটা হলো কেবল ও শুধুমাত্র ভার্চুয়াল পরিসরে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো ব্যবহার করলে চলবে না। বান্তবেও সামাজিকতা বজায় রাখতে হবে। এই নিয়ম মেনে চললেই হবে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া স্যান ডিয়েগোর গবেষক উইলিয়াম হবস বলেছেন, “ফেসবুক ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করে সামাজিকতা বজায় রাখা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। এতে শরীর ও মন দুইই ভালো থাকে। তবে পুরো বিষয়টি শুধুমাত্র ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মধ্যে আটকে রাখলে চলবে না। বাস্তবেও সামাজিকতা করতে হবে। তবেই মিলবে এই উপকার। ”
৬ মাসের একটি সমীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা দেখেছেন, যারা ফেসবুকে দৈনন্দিন সময় কাটান, তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি। বন্ধুদের সঙ্গে বার্তালাপ বা ফেসবুকে মনের কথা লেখা, এই প্রতিটি বিষয়ই মন হালকা করতে অনেকটা সাহায্য করে। সেইসঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। তাই জীবনকে সতেজ রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটটি। তবে গবেষকদের এই দাবি কতোটা যুক্তিযুক্ত তা ভাববার বিষয়।