দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একদল ষড়যন্ত্রতত্ত্ববিদের দাবি করেছেন যে, বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী ‘স্টিফেন হকিং মারা গেছেন ৩৩ বছর আগেই’! ১৯৮৫ সালেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে হকিংয়ের মতো দেখতে অন্য একজনকে দেখিয়ে বলা হচ্ছে তিনি বেঁচে রয়েছেন।
একদল ষড়যন্ত্রতত্ত্ববিদের দাবি করেছেন যে, বেঁচে নাই বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। ১৯৮৫ সালেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে হকিংয়ের মতো দেখতে অন্য একজনকে দেখিয়ে বলা হচ্ছে তিনি বেঁচে রয়েছেন।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল কসমোলজির পরিচালক স্টিফেন হকিংকে নিয়ে এমন একটি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন একদল ষড়যন্ত্রতত্ত্ববিদ।
বহু সম্মানে সম্মানিত এই বিজ্ঞানীর ৭৬তম জন্মদিন পালিত হয়েছে গত ৮ জানুয়ারি। তারপরও দাবি করা হচ্ছে আসল স্টিফেন হকিং মারা গেছেন ৩৩ বছর আগেই!
ষড়যন্ত্রতত্ত্ববিদদের কারণে প্রশ্ন উঠছে যে, সত্যিই যদি হকিংয়ের মৃত্যু হয়েছে? তবে এখন আমরা যে স্টিফেন হকিংকে দেখছি তিনি আসলে কে?
ষড়যন্ত্রতত্ত্ববিদদের ধারণা মতে, এখন যাকে স্টিফেন হকিং বলে চালানো হচ্ছে তিনি আসলে হকিংয়ের মতোই দেখতে অন্য একজন। তবে তিনি এই ‘পাপেট গবেষক’ এবং প্রকৃত স্টিফেন হকিংয়ের মতোই পদার্থবিজ্ঞানে একজন দক্ষ।
ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদদের দাবি হলো, স্টিফেন হকিং ১৯৮৫ সালেই মারা গেছেন। ওই সময় তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। তখনই চিকিৎসকরা তার লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম বন্ধ করে দেন ও হকিং মারা যান।
রাজনীতিবিদ এবং বিজ্ঞানীরা বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্টিফেনের মতো দেখতে অন্য একজনকে আসল বিজ্ঞানীর জায়গায় বসিয়ে রেখেছেন বলে দাবি করেছেন ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদরা।
নিজেদের দাবি স্বপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে তারা বলছেন, যে স্টিফেন হকিং ডোনাল্ড ট্রাম্প–স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা বা ব্রেক্সিটকে নিয়ে কথা বলতে কখনই পছন্দ করতেন না, হঠাৎ করেই তার রাজনীতি নিয়ে কথা বলাতেই প্রথম খটকা লাগছে।
তাদের দাবি প্রমাণ করতে ক্রমাগত অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছেন ষড়যন্ত্রতত্ত্ববিদরা। তারা বর্তমানের স্টিফেন হকিংয়ের ছবি, গলার স্বরসহ নানাবিধ পরীক্ষা করে দেখছেন।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, স্টিফেন হকিংয়ের মৃত্যু নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রকাশের পর অনেকেই তা বিশ্বাস করতেও শুরু করেছেন বলে সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে!