দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীতে কতো রকম রহস্য রয়েছে তা গুণে শেষ করা যাবে না। এইসব রহস্য দেখে আমরা বিস্মিত হয়। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে থাইল্যান্ডে। কবর হতে হেসে উঠলেন এক মৃত সন্ন্যাসী!
মারা যাওয়ার দু’মাস পরে ধর্মীয় রীতি মেনেই তাঁর দেহ কবর হতে তোলা হয়। তাঁর ভক্তরা দেখেন, এই দু’মাস পরও তাঁর দেহ প্রায় অবিকৃত রয়েছে।
ওই সন্ন্যাসী প্রয়াত হন ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর। তাঁকে সমাহিতও করা হয়েছিল পূর্ণ ধর্মীয় মর্যাদায়। তবে ঠিক দু’মাস পর কবর হতে তোলা হয় তাঁর দেহ। কবর হতে তোলার পর তখনই হেসে উঠলেন তাইল্যান্ডের ব্যাংকক শহরের ওই বৌদ্ধ ভিক্ষু লুয়াং ফোর পুয়ান।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, জন্মসূত্রে কম্বোডিয়ান ওই সন্ন্যাসী তাঁর জীবনের সিংহভাগ সময় অতিবাহিত করেন মধ্য থাইল্যান্ডের লোপবুরি মঠে। আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে বিপুল খ্যাতিও ছিল তাঁর। ৯২ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু ঘটলে তাঁকে যথোপযুক্ত মর্যাদার সঙ্গে ওই মঠেই তাঁকে সমাহিত করা হয়।
তাঁকে সমাহিত করার ঠিক দু’মাস পর ধর্মীয় রীতি মেনেই তাঁর দেহ কবর হতে তোলা হয়। তাঁর ভক্তরা দেখেন, এই দু’মাস তাঁর দেহ প্রায় অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে। তাঁর মুখে যেনো আশ্চর্য এক হাসি লেগে রয়েছে, যা তাঁর প্রয়াণের সময় ছিল না।
তাঁর দেহটি যখন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের জন্য ভক্তদের সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, ঠিক তখনই তাঁর মুখে এই সৌজন্যমূলক হাসি ফুটে ওঠে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মিরর’-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। থাইল্যান্ডের স্থানীয় মিডিয়া বলেছে, পিয়ানের দেহকে দেখে মনে হচ্ছিল বড়জোর ৩৬ ঘণ্টা পূর্বে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে।
এমন পরিস্থিতি দেখে বৌদ্ধ তত্ত্বকে সামনে রেখে ভক্তরা বলছেন, পিয়ান প্রকৃত অর্থেয় নির্বাণ লাভ করেছেন। এই হাসিই তার প্রমাণ দিচ্ছে। প্রয়াণ হতে ১০০ দিন পর আবার তাঁকে সমাহিত করা হবে। এই সময় নিরবচ্ছিন্ন প্রার্থনা চলবে ভক্তদের।