দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সরকার দেশে ফোর-জি ইন্টারনেট চালু করতে যাচ্ছে। তবে ফোর-জি ইন্টারনেট নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এর কারণ হলো থ্রি-জি ইন্টারনেট যেখানে এখনও অপ্রতুল, সেখানে ফোর-জি সেবা চালুর ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দাবি হলো, থ্রি-জি সেবার নামে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো টু-জিও দিচ্ছে না, রীতিমত গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এই বিষয়ে সরকারের কোনো শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থাও নেই। যে কারণে ফোর-জি চালু করে কোনো সুবিধা গ্রাহকরা পাবে না বলেই মনে করছেন গ্রাহকরা।
ফ্রিল্যান্সাররাও (আউটসোর্সিং) বলছেন যে, যথাযথ সুযোগ-সুবিধা দিতে না পারলে শুধু ঘোষণা দিয়ে ফোর-জি বাংলাদেশে চালুর কোনো মানে হয় না। এতে ফ্রিল্যান্সাররা বাড়তি কোনো সুযোগই পাবে না, বরং তাদের ব্যয় বাড়বে।
কারণ হলো দেশের রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশই আসে ফ্রিল্যান্সারদের কাজের মাধ্যমে। তাদের ব্যয় বাড়লে কেবলমাত্র ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান লাভবান হবে। তবে প্রকৃত অর্থে ফ্রিল্যান্সাররা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তই হবেন।
তবে গ্রাহকরা বলেছেন, শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার যদি ফোর-জি দিতে পারে তাহলে সেই উদ্যোগকেও স্বাগত জানিয়েছেন তারা। তাদের দাবি হলো, এইক্ষেত্রে যেনো থ্রি-জির মতো প্রতারণা না হয়।
অনেকের অভিযোগ রয়েছে, ইন্টারনেট এখন এক যন্ত্রণার বিষয়। মোবাইল আপারেটর হতে থ্রি-জি ইন্টারনেট কেনা হয়। সেটা আবার বাসাতে চলে না। কারণ হলো বাসায় ঠিকমতো নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। ফোনে কথা বলতে গেলেও সমস্যা হয়। যে কারণে লোকাল ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের কাছ থেকে ব্রডবেন্ড ব্যন্ডউইথ নিতে হচ্ছে। এতে করে গ্রাহকদের ডাবল খরচ হচ্ছে। কারণ বাসা ও বাইরে গ্রাহকদের সমানভাবে ইন্টারনেট খরচ হয়।
এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধোকাবাজি করা হয়। সেবাদানকারীরা রমরমা বিজ্ঞাপন দেন ইন্টারনেটের। তারা এসএমএস করে নানা প্রলোভন দিলেও বাস্তবে সেগুলো সব সময় কাজে আসে না বলে গ্রাহকদের অভিযোগ রয়েছে। তাই সরকারকে এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। যে কারণে এই খাতের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও গ্রাহকদের পক্ষে কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছেন। আমরা চাই সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করুক। যাতে গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার না হয় সেই দিকটা সরকার দেখুক।