দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কখন বজ্রপাত হয় তা কিন্তু আমরা জানিনা। হঠাৎ করেই বজ্রপাত হওয়ার কারণে মৃত্যুহার অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়। তাই এবার মুক্তির পথ খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, অন্তত ৪৫ মিনিট পূর্বেই বজ্রপাতের সংকেত পাওয়া যাবে এমন এক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
আমরা সকলেই জানি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমেই বদলে যাচ্ছে বিশ্ব। সেইসঙ্গে বাড়ছে বজ্রপাতের প্রকোপও। ঘরে-বাইরে বজ্রপাতে মারা যাচ্ছে বহু মানুষ। আগে কখনও এমনটি দেখা যায়নি। এই অবস্থা হতে মুক্তির পথ খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা।
বজ্রপাতে ক্রমবর্ধমান প্রাণহানি ঠেকানোর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। একটি মার্কিন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ভবনসহ রাজ্যের কয়েকটি স্থানে একটি যন্ত্র বসানো হয়েছে।
কোলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও এই যন্ত্রটি অন্ততপক্ষে ৪৫ মিনিট পূর্বেই বজ্রপাতের সংকেত দেবে। সেই অনুযায়ী সতর্ক করা যাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষজনকে। এতে কমে আসবে প্রাণহানির ঘটনা।
খবরে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার আধুনিক সেন্সর বসিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা অনেক কমিয়ে এনেছে। পরে ওই প্রযুক্তির ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ওই সেন্সরযন্ত্র বসানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুর, বড়জোড়া, হলদিয়া, শিলিগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে।
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব সুরেশ কুমার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সেটটপ বক্সের মাধ্যমে এসএমএস করে টেলিভিশনে সম্ভাব্য বজ্রপাতের খবর পাঠানো সম্ভব হবে। যেখানে বাজ পড়বে, তার ২০০ মিটারের মধ্যে কাজ করবে ওই যন্ত্রের সেন্সরটি।
জানা গেছে, বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজ্য সরকারের প্রচুর অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। যন্ত্রের ব্যবহারে প্রাণহানি কমানো গেলে সেই খরচও কমে আসবে।
জানা যায়, ‘২০১৬-১৭ সালে ওই রাজ্যে বজ্রপাতে ২৭৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে। ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি পরিবারকে।’
এই ধরনের যন্ত্র আমাদের দেশেও ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে প্রচুর মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বজ্রপাতে।