দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই বিস্ময়কর একটি কথা। কারণ ৯৯ বছর বয়সে সুস্থ্য সুন্দর থাকা এবং একটি প্রতিযোগিতায় অংশ সত্যিই বিস্ময়কর ব্যাপার। তারপর রয়েছে বিশ্ব রেকর্ড অর্জনের কৃতিত্ব।
বড় কিছু করতে বয়স কোনো বাধা নয়, সেটি প্রমাণ করলেন অস্ট্রেলিয়ার সাঁতারু জর্জ করোনেস। বয়স ১০০ ছুঁইছুঁই করছে। তাতে কি এই বয়সেও তিনি সাঁতার কাটার মতো পরিশ্রমী একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। এতো বয়সে মানুষের ঠিকভাবে হাঁটতে পারারও কথা নয়। তবে প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও আত্মবিশ্বাসের কারণে ৯৯ বছর বয়সও তাকে দমাতে পারেনি মোটেও। বয়সভিত্তিক সাঁতারে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন ৯৯ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার এই সাঁতারু জর্জ করোনেস।
দারুণ এক বিশ্বরেকর্ডের সাক্ষী হয়েছেন কমনওয়েলথ গেমসের সুইমিং ট্রেইলসে উপস্থিত দর্শকরা। বয়স ৯৯ হলেও ১০০-১০৪ বছরের সাতারুদের গ্রুপে একমাত্র প্রতিযোগী জর্জ করোনেস। তিনি সাঁতারে ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল ৫৬.১২ সেকেন্ডে শেষ করেন। করোনেস এ পথের পেছনে ফেললেন ২০১৪ সালে ব্রিটিশ সাঁতারু জন হ্যারিসনের গড়া রেকর্ডকে।
কমনওয়েলথ গেমস সাঁতারের এই বাছাইপর্বে হ্যারিসনের চেয়ে ৩৫ সেকেন্ড সময় কম নেন জর্জ করোনেস। তবে করোনেসের রেকর্ড গ্রহণ করা হবে কিনা সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে বিবিসি বলেছে, ১০০ হতে ১০৪ বছরের বয়সভিত্তিক সাঁতারে করোনেস রেকর্ডটিরই যোগ্য। কারণ হলো আগামী মাসেই করোনেস ১০০ বছরে পা দেবেন।
জর্জ করোনেস তার যৌবন কালে সাঁতার পছন্দ করলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে তা ছেড়ে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ তিনি পেশাদার সাঁতারু ছিলেন না। শরীর ঠিক রাখতে শুধু ব্যায়াম করার জন্য সাঁতার শুরু করেন ৮০ বছর বয়সে!
বিশ্বরেকর্ড গড়া নিয়ে তাঁর ভাষ্য হলো, এটা ছিলো উদাহরণ সৃষ্টি করার একটি প্রতিযোগিতা। আমিও প্রস্তুত ছিলাম। এই বয়সে গতি তুলতে কিছুটা সময়তো লাগেই। তবে একটু বুদ্ধি খাটালেই অবিশ্বাস্য ফল পাওয়া সম্ভব।
তবে করোনেস এখানেই থামেননি। তিনি ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে বিশ্বরেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে পুলেও নামবেন। হ্যারিসনের দখলে থাকা এই রেকর্ডটিও নিজের করে নেওয়ার লক্ষ্যে করোনেসের উক্তি হলো, তারুণ্য পেছনে ফেলে এসেছি। তবে আমি এটা অর্জন করতে চাই।