দুইদলেরই ছিলো এগিয়ে যাওয়ার লড়াই, লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সাথে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি’র ফাইনালকেই তারা পাখির চোখ করেছে সেটারও প্রমাণ দিলো যেনো এ ম্যাচে। গতকাল বি গ্রুপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৭ রানের জয় পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২টি পয়েন্ট অর্জন করেছে প্রোটিয়ারা। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরাজয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও হার পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে প্রায় ছিটকে দিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ছুঁড়ে দেয়া ২৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬৭ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। শুরু থেকেই চেপে ধরা আফ্রিকান বোলিংয়ের বিপক্ষে পাকিস্তান যেনো ওয়ানডে ম্যাচে টেস্ট খেলছিলো! ৪৮ রানের ভেতর ফিরে যান ইমরান ফারহাত, মোহাম্মদ হাফিজ এবং শোয়েব মালিক। হাফিজ করেন ২১ বলে ৭ রান এবং মালিক ২৯ বলে ৮ রান! ডেল স্টেইন এই ম্যাচেও মাঠে নামনেনি, তবে তাকে ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকান বোলিংয়ের সামনে অসহায় বোধ করে পাকিস্তান। ৮৬ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে যায় এক প্রান্ত আগলে খেলতে থাকা নাসির জামশেদের, ৭৬ বলে ৪২ রান তোলেন তিনি।
দলীয় ১২৯ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে উমর আমিন এবং ১৪৮ রানের মাথায় সপ্তম ব্যাটস্ম্যান হিসেবে অধিনায়ক মিসবাহ আউট হয়ে গেলে পাকিস্তানের পরাজয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। ৭৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন মিসবাহ। ম্যাকলারেন ৪টি উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের লোয়ার অর্ডারকে বেশীক্ষণ মাঠে টিকতে দেননি। ক্রিস মরিস, টটসোবে ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
মেঘলা আকাশের নিচে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিং নেয়। ওপেনিং জুটিতে ৫৩ রান তুলে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেয় তারা। হাফিজের স্পিনে এলবিডব্লিউ আউট হন ৪৫ বলে ২০ রান করা কলিন ইনগ্রাম। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৯ রান যোগ করেন আমলা-প্লেসিস জুটি। প্লেসিস ২৮ রানে আউট হবার কিছুক্ষণ পর ৯৭ বলে ৮১ রান করা আমলা ধরা পড়েন আজমলের বলে। প্রোটিয়াদের দলীয় রান তখন ১৪৫, ৩ উইকেটের বিনিময়ে।
আমলা আউট হবার পর ডি ভিলিয়ার্স-ডুমিনি রানের চাকা ধরে রাখেন। দুজনই পরপর রান আউট হয়ে গেলে আফ্রিকান ব্যাটিংয়ে রানের গতি মন্থর হয়ে পড়ে হঠাৎই পাকিস্তানের চেপে ধরা ফিল্ডিংয়ের সামনে। শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৫১ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫০ ওভারে ৯ উকেট হারিয়ে ২৩৪ রান সংগ্রহ করে তারা। ইরফান, জুনায়েদ, হাফিজ, আজমল, মালিক ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
প্রোটিয়া দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮১ রান করায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন হাশিম আমলা।