দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা ভাবতাম বোধহয় রাজধানীর নিকটবর্তী বুড়িগঙ্গা নদীই সবচেয়ে দূষিত নদী। কিন্তু আসলে তা নয়। এর থেকেও দূষিত নদী রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার নদী চিতারুম বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নদী!
আমাদের ভাবনার সত্যিই ব্যাত্যয় ঘটেছে। আমাদের ধারণা ছিলো রাজধানীর নিকটবর্তী বুড়িগঙ্গা নদীই মনে হয় বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নদী। কিন্তু আসলে তা নয়, ইন্দোনেশিয়ার নদী চিতারুম বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নদী! ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় এই নদীর অবস্থান। প্রায় এক দশক পূর্বে বিশ্বব্যাংক এটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নদী হিসেবে ঘোষণা দেয়।
এই নদীর ঘোলা পানির দিকে তাকালে কিছুই দেখা যায় না। পানিতে প্রায়ই ভাসতে দেখা যায় বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ, গৃহস্থালি আবর্জনা এবং বিভিন্ন প্রাণীর বিষ্ঠা! সব মিলিয়ে এক ঘোলা পানি।
জানা গেছে, চিতারুম নদীর দূষণ এমনই মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছেছে যে, কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বাধ্য হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া সরকারের এখন লক্ষ্য হলো, ২০২৫ সালের মধ্যে চিতারুম নদীর পানি সুপেয় করে তোলা। নদীটির দূষিত পানির ওপর প্রায় ৩ কোটি মানুষের জীবন নির্ভরশীল। এসব মানুষ এই নদীর পানি সেচ ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করে। অনেকেই এই পানি নাকি পানও করে!
এক তথ্যে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার ৮০ শতাংশ অধিবাসী চিতারুম নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল। এই নদীটি প্রায় ৩শ’ কিলোমিটার দীর্ঘ। জাভা এবং বালি দ্বীপে সরবরাহ করা বিদ্যুৎ উৎপাদনেও ব্যবহার করা হয় এই নদীর পানি। নদীতে হাজারখানেক টেক্সটাইল কারখানার বর্জ্য পদার্থ নির্গত হয়।
প্রতিদিন প্রায় ২৮০ টন বর্জ্য ফেলা হয় এই চিতারুম নদীতে। এক গবেষণায় পাওয়া গেছে, নিরাপদ সুপেয় পানির যে মানদণ্ড যুক্তরাষ্ট্র নির্ধারণ করেছে তার চেয়ে এক হাজারগুণ বেশি বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া গেছে এই চিতারুম নদীর পানিতে! তারপরও এমন বিষাক্ত পানি কিভাবে মানুষ ব্যবহার করছে সেটি সত্যিই আশ্চর্যের বিষয়।