দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেসিস নির্বাচনের ত্রিমুখী লড়াই আজ। সফটওয়্যার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) নির্বাচন আজ।
নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে নির্বাচন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। অবশেষে জটিলতার অবসান হয়েছে। ২৭ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে এই নির্বাচন স্থগিত করে, অবশ্য পরদিনই সেই আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তাই পূর্বঘোষিত আজ ৩১ মার্চ (শনিবার) হচ্ছে বেসিস নির্বাচন।
বেসিসের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এস এম কামাল বলেছেন, ইতিমধ্যেই নির্বাচনের সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেসিসের কার্যালয়ে আজ (শনিবার) সকাল ১০টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।
২০১৮-২০ মেয়াদের বেসিসের নির্বাহী কমিটির এবারের নির্বাচনেই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। ৯টি পদের জন্য এবার লড়ছেন ৩১ জন প্রার্থী। ৩টি প্যানেলে রয়েছেন ২৬ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ৫ জন। নারী প্রার্থী রয়েছেন মোট ৩ জন। বেসিসের ১ হাজার ৬২ জন সদস্যের মধ্যে ভোটারের সংখ্যা ৬৮৭। তারমধ্যে ৪৭৪ জন সাধারণ ও ২১৩ জন সহযোগী সদস্য।
এবারের বেসিসের নির্বাচনে ৩টি টিম হলো, উইন্ড অব চেঞ্জ, হরাইজন ও টিম দুর্জয় প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
উইন্ড অব চেঞ্জ প্যানেলের নেতৃত্বে আছেন দোহাটেক নিউ মিডিয়ার চেয়ারম্যান ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহা। এই প্যানেলে আরও আছেন মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, ইকবাল আহমদ, আবু দাউদ খান, রেজওয়ানা খান, মোহাম্মদ সানোয়ারুল ইসলাম, নূর মাহমুদ খান ও এম আসিফ রহমান।
লুনা শামসুদ্দোহা বলেছেন, ‘বেসিসকে নতুন উচ্চতায় নিতে হলে নেতৃত্বের বড় ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন। সেজন্য দরকার অভিজ্ঞ ও উদ্যমী কর্মী। এসব বিষয় মাথায় রেখেই এই খাতের সফল ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে আমাদের প্যানেল সাজিয়েছি। সফটওয়্যার শিল্পসহ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে এই প্যানেল বেস্ট প্যানেল বলে আমি মনে করি।’
বেসিসের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে লুনা শামসুদ্দোহা বলেন, ‘আমরা কেনো আজ বেসিসের নির্বাচনে এলাম। কারণ হলো আমরা এই তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরকে আরও এগিয়ে নিতে চাই। তথ্য প্রযুক্তিকে বিশ্বমানের করে তুলতে গেলে তরুণদের কাজে লাগাতে হবে। আমাদের নির্বাচন করার পেছনে সেটিই একমাত্র লক্ষ্য। আমরা তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগিয়ে এই সেক্টরকে বিশ্বের সর্বোচ্চ আসনে নিয়ে আসতে চাই। সেজন্য আমাদের একটা প্লাটফরম দরকার। আর সেটিই হলো এই বেসিস।’
হরাইজনের নেতৃত্বে রয়েছেন বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। এই প্যানেলে আরও রয়েছেন বর্তমান সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান ও পরিচালক দেলোয়ার হোসেন (সহযোগী)। এ ছাড়াও আরও রয়েছেন শোয়েব আহমেদ, মুশফিকুর রহমান, তামজিদ সিদ্দিক, ফাহিম তানভীর আহমেদ, দিদারুল আলম এবং রাশাদ কবির।
টিম দুর্জয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন বেসিসের সাবেক মহাসচিব মোস্তফা রফিকুল ইসলাম। এই প্যানেলে আরও রয়েছেন মো. সহিবুর রহমান খান, এ কে এম আহমেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ, জাহিদুল আলম, এ এস এম আসাদুজ্জামান, জিয়া আশরাফ, এ কে এ এম রাশেদুল মজিদ ও জামান খান (সহযোগী)।
এই নির্বাচনে সহযোগী সদস্য হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি এ কে এম ফাহিম মাসরুর তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। বাকি চার স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন মাহবুব হাসান, মো. এনামুল হক, মো. শাহজালাল এবং এ এস এম জামাল উদ্দিন।
অবস্থা বিবেচনায় দেখা যাচ্ছে আজকের নির্বাচনে অনেক বুঝে-শুনেই ভোট দিবেন সদস্যরা। কারণ কোন গ্রুপকে ভোট দিলে এই সেক্টরের উন্নতি হবে সেটি খুব স্বাভাবিকভাবেই সদস্যরাও অবগত।